প্রত্যেক বিয়ের দেনমোহর ১০ লাখ টাকা
রিজেন্ট পার্কে ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিলো জনতা

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>প্রত্যেক বিয়ের দেনমোহর ১০ লাখ টাকা</span> <br/> রিজেন্ট পার্কে ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিলো জনতা

এমএ ওয়াহিদ সোয়েব
সিলেটের রিজেন্ট রিসোর্ট নামক পার্কে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করে তাদের বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। উভয় পরিবারের সম্মতিতে সামাজিকভাবেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রত্যেক বিয়ের কাবিননামায় ১০ লাখ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন সিলাম ইউনিয়নে অবস্থিত রিজেন্ট রিসোর্ট নামের ওই পার্কে দীর্ঘদিন থেকে এসব অপকর্ম চলে আসছে। পার্কের ভিতরে বেশ কয়েকটি নিরাপদ কক্ষ রয়েছে। যেসব কক্ষ মোটা অঙ্কের ভাড়ার বিনিময়ে সঙ্গী নিয়ে মিলিত হন স্কুল-কলেজ পড়য়া শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের বারংবার আপত্তি বা অভিযোগের পরও বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা অধিক মুনাফার আশায় চোখ বন্ধ করেই এমন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে স্থানীয় যুবকরা ওই কক্ষগুলোতে তল্লাশী চালানোর উদ্যোগ নেয়। যথারীতি অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় মুরব্বিদের পরামর্শে তাদের অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে তাদেরকে ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়। এসময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মোগলাবাজার থানাপুলিশ।
জানা যায়, আটক হওয়া তরুণ-তরুণীদের বয়স আঠারো থেকে একুশ বছর। তাদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারে। বিকেলের দিকে তাদের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সাথে আলাপ করে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপর প্রত্যেকটি বিয়ের কাবিনে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা ধার্য্য করে কাজির মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, এই পার্কটিকে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ হিসেবে তারা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সী বিভিন্ন জায়গার তরুণ-তরুণীদের মিলনস্থল হিসেবে এটি চিহ্নিত করেছেন। তারা বলেন, পার্কের পাশেই সিলাম স্কুল এবং কবরস্থান রয়েছে। এসব কাজে এলাকার মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে ২০ জন ছেয়ে-মেয়ে রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়েছেন স্থানীয়রা। পরে এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়েছেন। তারা আসলে বিয়ের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় মুরুব্বিরা। এরপরেও আমাদের কোনো আইনি ব্যব্স্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা নেবো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর