ঢাকা ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন : সিলেটের এতহ্যিবাহী কিনব্রিজ খুলে দেয়োয় নগরবাসীর স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলছেন। সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কিন ব্রিজরে দু’পাশ গ্রিল দিয়ে বন্ধ করে দেন। এরপর নগরীর শাহজালাল সেতু, কাজীর বাজার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। ফলে নগরীতে সৃষ্টি হয় প্রচন্ড যানজট। দক্ষিণ সুরমা থেকে মুমূর্ষু রোগী এম্বুলেন্স যুগে নগরীর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে অনেক বেগ পেতে হতো। এক পর্যায়ে দক্ষিণ সুরমাবাসী কিনব্রিজের মোড়ে ব্রিজটি খুলে দেয়ার জন্য প্রতিবাদ সভা করেন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ব্রিজটি বন্ধের প্রতিবাদ করেন। এর ফলে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাত ৮টায় ব্রিজের দুই পাশের গ্রিল কেটে ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়। তবে ব্রিজ দিয়ে কোন ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কেবল রিক্সা, বাই সাইকেল, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল করতে পারবে।
.
ব্রিজটি খুলে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আজম খান, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র দেওয়ান তৌফিক বক্স লিপন, মহিলা কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রোকসানা বেগম শাহনাজ প্রমুখ। ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৬ সালে সিলেট কিন ব্রিজ চালু হয়। তৎকালীন আসামের গভর্নর মাইকেল কিন সুরমা নদীর ওপর লোহার এ ব্রিজটি তৈরি করেন। পরে ব্রিজটির নাম তাঁর নামানুসারে কিন ব্রিজ রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটি সংস্কার করে ফের চালু করা হয়। ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ায় অনেক বছর আগেই ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে রিকশা এবং হালকা যানবাহন চলাচল করত ব্রিজ দিয়ে। প্রায় দুইমাস সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকার পর আবারো ব্রিজটি খুলে দেয়া হল।
সাবেক মেয়র কামরান দাবি জানিয়ে বলেন, ব্রিজটি খুলে দিয়ে বর্তমান মেয়র সময়োপযোগী কাজ করেছেন। ব্রিজটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জনগণের যাতায়াত সহজ ও সাবলিল করার দাবি জানান।
.
উল্লেখ্য, স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী, মুমূর্ষুরোগী ও অফিস আদালতের কর্মজীবী মানুষেরা উত্তর সুরমায় যেতে এই ব্রিজ ব্যবহার করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech