ঢাকা ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৯
মশাহিদ আলী : সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪ ডিসেম্বর। সম্মেলন সফল করতে মহানগরের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যে নগরীর বাকী থাকা ৬ টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সম্মেলনের স্থান হিসেবে সিলেট রেজিস্ট্রারী ও আলীয়া মাদ্রাসার মাঠ এ দু’টি জায়গা প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামীলীগের পরবর্তী বৈঠকে যেকোন একটি স্থানকে বেছে নিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া সম্মেলনে মহানগর অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে ১২ জন কাউন্সিলর নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
.
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ নভেম্বর সিলেট মহানগর আওয়ামলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ সময় কাউন্সিলরদের ভোটে সরাসরি কমিটি গঠিত না হলেও কাউন্সিলরদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে কেন্দ্র থেকে বদর উদ্দিন কামরানকে সভাপতি ও আসাদ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণার ৮ বছর ২৪ দিন পর আগামী ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আবারও বহুল প্রতীক্ষিত সিলেট মহানগর আওয়ামলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে সিলেট মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ২১টিতে ইতিমধ্যে সফল ভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করেছে মহানগর আওয়ামীলীগ। যদিও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিছুটা ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও তা আমলে নেয়ার মতো বড় কিছু নয়।
.
এদিকে আগামী সম্মেলনে কারা হচ্ছেন সিলেট মহানগরীতে আওয়ামীলীগের নতুন কান্ডারি এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ কৌতুহল রয়েছে। যদিও নেতারা নিজেদের নাম প্রকাশ না করলেও আড়ালে আবডালে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে গ্রুপিং-লবিং ঠিকই বজায় রাখছেন। অনেক নেতাই সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছেন খোঁজ খবর নিচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের। কারণ সম্মেলনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হলে ওয়ার্ড কমিটির কাউন্সিলররা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। আবার কোন কোন নেতা ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত ঘরোয়া বৈঠক করছেন। পালস্ বুঝার চেষ্টা করছেন তাদের। কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতাদের সাথেও যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আর এ সবই হচ্ছে সিলেট মহানগরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীতে আওয়ামীলীগ তথা নৌকার আগামী দিনের কান্ডারী হতে।
.
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দেশব্যাপী চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনে অনেক নেতাই নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থী হিসেবে সরাসরি ঘোষণা না দিলেও ভেতরে ভেতরে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এটাই আওয়ামীলীগের সৌন্দর্য্য। ঐ নেতা জানান, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকই জানেন কারা দলের জন্য ত্যাগী, পরীক্ষিত ও দায়িত্বশীল। তিনি সঠিক নেতৃত্ব চিনতে কখনও ভুল করেন না। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও নেত্রী এমন নেতৃত্বই বেছে নেবেন বলে মনে করেন ওই নেতা। এদিকে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সূত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলের বর্তমান মহানগরী সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করে তার জায়গায় দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদকে নিয়ে আসা হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আসাদ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তাদের কাছে এরকম কোন তথ্য নেই।
.
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের বর্তমান সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন, বিজিত চৌধুরী, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল ও হাসান জেবুলের নাম শুনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, বিজিত চৌধুরী ও অধ্যাপক মো: জাকির হোসেনের এ পদে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী।
.
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে যেভাবে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে নেতৃত্বে চমক নিয়ে আসছেন শেষ পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এরকম কোন চমক থাকলে সব হিসেব-নিকেশ ও আলোচনাই উল্টে যেতে পারে বলে অনেকেরই ধারণা।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech