কেন্দ্রের দিকে দৃষ্টি সিলেটের ৪ নেতার

প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯

কেন্দ্রের দিকে দৃষ্টি সিলেটের ৪ নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়া তিন নেতার দৃষ্টি এখন কেন্দ্রের দিকে। সেই সাথে একই দৃষ্টি রাখছেন টানা তিনবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিকের দায়িত্ব পালন করা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজেরও। সদ্য ঘোষিত অপূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এখনও নাম নেই এই চার নেতার। বিষেশ করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের ৮ পদে ৫ জনের নাম ঘোষণা করা হলেও এখন বাকি আছে আরো তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে, এই পদে এই চারজন থেকে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে- এমটিই ধারণা করছেন সিলেটের নেতাকর্মীরা। এক সময় কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেটীদের অধিক্য থাকলেও সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সিলেটের ১ জন প্রেসিডিয়ামে এবং তিনজনকে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করা হয়েছে। আর তালিকায় বাদ পড়া আলোচিত ৪ নেতা হলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান,শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আসাদ উদ্দিন আহমদ।
শনিবার দলের কাউন্সিল পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেটের দাপুটে নেতাদের নাম না থাকায় সিলেটে এখন বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। তবে তাদের জায়গা না হলেও আগের কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এবারও দলটির নীতিনির্ধারণী কমিটির সদস্য হয়েছেন। এছাড়াও আগের কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতও তার অবস্থান ধরে রেখেছেন।
এই ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃত্ব হারিয়েছেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, শফিকুর রহমান ও আসাদ উদ্দিন আহমেদ। জেলা ও মহানগর কমিটিতে পদ হারালেও তারাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধারনা ছিল কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত হবেন সিলেট এই তিন নেতা। কিন্তু শনিবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ঘোষিত কমিটিতে তাদের কারও জায়গা হয়নি। এমনকি সিলেটের আরেক নেতা আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও কমিটিতে জায়গা পাননি।
প্রায় তিন দশক সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিন দশক পর পদ হারান কামরান। সাবেক মেয়রকে সরিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগে আসেন নতুন সভাপতি। মহানগরের পদ হারালেও এখনও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে ছিলেন কামরান। এবারের সম্মেলনে কামরান পদোন্নোতি পেতে পারেন এমন ধারণা ছিল তার অনুসারীদের।

টানা তিন মেয়াদে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন সিলেটের আরেক নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এবার এখন পর্যন্ত এই পদেও নিয়োগ পাননি তিনি, যদিও এখনও তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ খালি রেখেছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটি।

গত আট বছর ধরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। কর্মীবান্ধব হিসেবে পরিচিত এই নেতা সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে পদ হারান। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা আসাদ উদ্দিন আহমদকে সরানোতেও অবাক হয়েছেন অনেকে। এই দুই নেতাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত করা হবে এমন আশা ছিল তাদের অনুসারীদের। তবে এখন পর্যন্ত তারা মূল্যায়িত হননি।

এদিকে, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে কোষাধ্যক্ষ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, তিনটা সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ, উপ-প্রচার এবং উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত ২১তম কাউন্সিলে নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর