ঢাকা ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
শরীফ সাথী
এই পৃথিবীর মিষ্টি মধুর একটি দ্বীপের কথা,
বলছি আমি উজাড় করা মায়া আছে যথা।
দ্বীপের উপর সবুজ শ্যামল হরেক রকম ঘাস,
শোভা বর্ধণ করে আছে খুবই তা উৎস্বাস।
সবুজ দ্বীপের বৃক্ষ নীড়ে পাখির বসবাস,
সকাল সন্ধা কিচির মিচির সুরের করে চাষ।
নদীর জলে ধূমছে চলে পানকৌড়ি আর হাঁস,
মাঝি জেলের কাটে সময় মধুর বারোমাস।
শালিক ঘুঘু ময়না টিয়া দ্বীপটির গাছে গাছে,
সুর মাখানো গয়না পোরে নেচে গেয়ে আছে।
দোয়েল শ্যামা কাঁচা হলুদ মিষ্টি পাখির মেলা,
মাছরাঙা আর পেঁচা পাখি
কত পাখির ডাকাডাকা
উলুক ফুলুক আঁকা আঁখি সদায় করে খেলা;
বকের সারি কাদা খোঁচার নিত্য কাটে বেলা।
দ্বীপের উপর বাজপাখি আর চিলের যত ছোঁ গতি,
হাসি খুশির মাঝে আবার কখনো হয় গো ক্ষতি?
চড়ুই বাবুই ফিঙে কোকিল ব্যাস্ততা তাঁর শেষ নেই,
বিশ্বে যেন এমন মিষ্টি দ্বীপের কোন দেশ নেই।
সরষে কলাই মুগ মশুরি চাষাবাদ হয় অনায়াসে,
ভুট্টা গমের সবুজ পাতায় শীত শিশিরের কণা হাসে।
বরবটি শিম লাউ কুমড়ার একপাশেতে বানের সারি,
উজ্জে বেগুন কলা পেঁপে যেন সর্বখানের সারি।
গাজর মুলো শাক কচুদের সিজন এলে বোনা চলে,
বছর জুড়ে পুরো দ্বীপেই ক্ষেত ফসলে সোনা ফলে।
পটল কপি ভেন্ডি ঝিঙে ঝাল হলুদের চাষে ভরা,
ছোলা বাদাম মটরশুটি খেশারি যব ঘাসে গড়া।
পেয়ারা তাল লিচু কাঁঠাল বটবৃক্ষের গাছ আছে,
দ্বীপের বুকের নদীর জলে হরেক রকম মাছ আছে
বকুল কদম কৃষ্ণচূড়া শিমুল ফুলের ঘ্রাণ আছে,
মমতাময় বাংলাদেশের দ্বীপটি সুখের প্রাণ আছে
দ্বীপের উপর কুঁড়ে ঘওে বসে হাওয়া খাওয়া যায়,
বৈচিত্রময় চিত্রগুলো চোখের সামনে পাওয়া যায়।
এই না দ্বীপে খুব আনন্দ হিমেল বায়ু মেখে,
রাখাল বাঁশি সুরের ছন্দ যায় এখানে রেখে।
সকাল সন্ধা সর্ব সময় যায় কেটে যায় দেখে,
দু’নয়নের অপরূপার দৃশ্য ছবি এঁকে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech