ঢাকা ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের দুই এমপির শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি। এটা তো ভাল। তারা সংসদে আসলে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাব। আমরা চাই, তারা আলোচনা করবেন, বিতর্কে অংশ নেবেন। তারা যতই সমালোচনা করবেন ততই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।
আপনি মির্জা ফখরুল ইসলামকে সংসদে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করবেন কি না, এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সেক্রেটারি যদি বলেন পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হয়েছে, তাহলে তিনি কি পক্ষপাতমূলকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন? তিনি কীভাবে নির্বাচিত হলেন? তিনি কারো দয়ায় নির্বাচিত হননি। এটা তার অধিকার। তাকে ফোন করে আনতে হবে কেন?
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিএনপি গণভবনে যাবে না, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, দেখুন, এই নির্বাচন ভালো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে বিএনপি কেন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে, এটা বোধগোম্য নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো অনেক আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এখন বিএনপি যে চেষ্টাটা করছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, সেটাতে কিন্তু তারা ফেল করেছে। তাদের এই অপচেষ্টা সফল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে তারা চিঠি লিখেছে, তাতে কেউ সাড়া দেয়নি। সবাই নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় তারা যে কয়টা আসনই পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তাদের সংখ্যা কত সেটা আমরা দেখব না। তারা যদি কোনো যুক্তিসঙ্গ বিষয় সংসদে উপস্থাপন করে তাহলে আমরা সেটা বিবেচনা করব। ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা আসতে পারেন। এটা একটা গার্ডেন পার্টি। ফাঁকে ফাঁকে কথা বলা যাবে। তারা কেন আসবেন না, এটা তাদের ব্যাপার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে দুই দফা সংলাপ করেছি। ফলে তাদের আমরা আগেও গুরুত্ব দিয়েছি। এখানে তারা আসলে আলাপ-আলোচনা হতে পারত। কিন্তু তারা যেভাবে বিষয়টিতে রিঅ্যাক্ট করেছেন, সেটা তাদের স্বভাবসুলভ নেতিবাচক রাজনীতি।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে, এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই তাদের শেষ কথা কি না, তা আমি জানি না। তারা আসুক, সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সব সহযোগিতা থাকবে। তারা নির্বাচনে না এসে ভুল করবেন কি সঠিক করবেন, সেটা তাদের বিষয়।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও বিএনপিকে ছাড়াই সংসদ শুরু হচ্ছে, বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। তারা যদি অংশ না নেয় তাহলে আমরা কি তাদের জোর করে আনব? বিএনপি তো গেল পাঁচ বছর সংসদে ছিল না, সংসদ চলেনি?
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে পারফেক্ট নির্বাচন হয়েছে, সেটা কি বলতে পারবেন? বাঘা বাঘা দেশেও নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। সেটা ব্যাপার নয়। সেটাতে বৈধতার কোনো সংকট তো নেই। তবে আমাদের এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সেনা সরকারের সময় আপনার বইয়ে লিখেছেন, একসঙ্গে দুইবার এই দেশে কোনো দলই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে, তাহেলে আপনার ভবিষ্যতবাণী কি ভুল? এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, দৃশ্যপট সব সময় এক থাকে না। আমি যখন লিখেছি, তখন প্রেক্ষাপট তেমনই ছিল। এটা তো জনমতের ওপর নির্ভর করে। জনমত যখন পাল্টে গেছে, তখন পরিস্থিতি তো পাল্টাতে পারে, তাই না?
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech