ঢাকা ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী গণফোরামের দুই নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন কি না, সেই প্রশ্নের জবাব ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে কারচুপি আখ্যা দিয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা শপথ নেবেন না। তবে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আর সিলেট-২ থেকে উদীয়মান সূর্য দিয়ে বিএনপির সমর্থনে জয়ী মোকাব্বির খান জানিয়েছেন, তারা শপথ নেবেন।
দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্যের এই বক্তব্যে জোটের মধ্যে দেখা দিয়েছে সন্দেহ-অবিশ্বাস। এর আগে কামাল হোসেনও জানিয়েছিলেন, তিনি শপথ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন ইতিবাচকভাবে। তবে পরে আবার ঐক্যফ্রন্ট থেকে জানানো হয়, জোটের কেউ শপথ নেবেন না।
বিদেশ থেকে ফিরে বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ডাকেন গণফোরাম সভাপতি। নিজ দলের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন করতে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় নানা বক্তব্যের মধ্যে বড় হয়ে উঠে সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির প্রসঙ্গ।
গণফোরামের দুইজন সদস্য শপথ নেবে কি না?- এমন প্রশ্নে কামাল হোসেন জবাব না দিয়ে বলেন, ‘এটার ব্যাপারে আমরা প্রেস কনফারেন্স করে বলে দেব। এখন মূল কথা হলো সবাইকে নিয়ে আমরা সংগঠিত হবো, শক্তি সঞ্চয় করব। এর পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
গত ১৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টায় কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। পরে যোগ দেয় আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এই জোট এবং বিএনপির আগের জোট ২০ দল সম্মিলিতভাবে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে যায়। কিন্তু জামায়াতকে ধানের শীষ দেওয়ায় বিব্রত কামাল হোসেন পরে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার শর্ত দিয়েছেন। তবে বিএনপি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
তবে কি ঐক্যফ্রন্টে বিভেদ দেখা দিল?- জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে।’
মূল শক্তি হচ্ছে আমাদের জনগণের ঐক্য। যারা জনগণের ক্ষমতাকে সহ্য করতে পারে না, তারাই জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। সাম্প্রদায়িকতার মানেই হলো জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এটা তারা করতে পারবে না।’
কামাল হোসেনকে নিয়ে বিএনপি এবং ২০ দলে চাপা আপত্তির কথা এতদিন গুঞ্জন হিসেবে আসছিল গণমাধ্যমে। তবে বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা এখন খোলাখুলিই বলছেন তাদের আপত্তির কথা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, কামাল হোসেনকে জোটের নেতৃত্ব দেওয়া ভুল ছিল। ঐক্যফ্রন্টকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সরে যেতে হবে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের অবশ্য জবাব দেননি ড. কামাল। বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উত্তর দেব না, অন্য অনুষ্ঠানে দেব।’
একাদশ সংসদ অধিবেশনে বসার বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নে গণফোরাম নেতা বলেন, ‘এটার ওপর আমরা আলোচনা করব। তার পরে বলব। সংসদ নিয়ে এখনই প্রশ্ন তুলতে চাই না। হালকাভাবে কিছু বলব না। সংসদে কী হচ্ছে না হচ্ছে খোঁজ-খবর রাখছি। এজেন্ডা নিয়ে পরে সংসদ বিষয়ে মন্তব্য করব।’
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী মোকাব্বির খান, হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে পরাজিত রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech