ঢাকা ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগের পর রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান জাহালম। সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ২৬টি মামলা থেকে জাহালমকে এক দিনের মধ্যেই অব্যাহতি দেয়া হয়।
মূল আসামি আবু সালেকের বদলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়। রাতে মুক্তি পাওয়ার পরপরই টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পরিবারের কাছে ছুটে যান তিনি।
জাহালমকে এক নজর দেখতে সোমবার সকাল থেকে তার বাড়িতে ভিড় জমান গ্রামের মানুষ। ধুবুরিয়া গ্রাম ছাড়াও আশপাশের গ্রামের লোকজনের ঢল নামে জাহালমের বাড়িতে। জাহালম ও তার পরিবারের সদস্যরা অমানবিক এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
জাহালম বলেন, আমাকে বিনা অপারাধে তিন বছর জেল খাটাল দুদক। আমি আবু সালেক না, আমি জাহালম, একথা বলার পরও তারা শোনেনি। আমার জীবনের তিনটা বছর নষ্ট করে দিল তারা। জেলখানায় খুব কষ্টে দিন কাটাইছি আমি। ফলে বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবার-পরিজন থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
জাহালম আরও বলেন, আমি জেলে থাকায় চরম দুর্বিসহ আর দুঃখ-কষ্টে দিন কাটিয়েছে আমার পরিবার। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে, আর দুদকের যে লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমি তাদের শাস্তি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই আবেদন তাদের যেন বিচার হয়। যারা আমার মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। গত তিন বছরে আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।
এ প্রসঙ্গে ধুবুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মতো একটি বড় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীহ জাহালম বিনা অপরাধে তিন বছরের কারাভোগের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কারাভোগের ফলে তার হতদরিদ্র পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই জাহালম ও তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবি রাখে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ প্রকৃত দোষীকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech