ঢাকা ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
বাংলাদেশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। আদালতে বিআরটিএর পে প্রতিবেদন দাখিল করেন-আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন-রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (০৭ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫০ পৃষ্ঠার উপরে দাখিল করা এ প্রতিবেদন ঢাকা, মাওয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এর আগে হাইকোর্ট ১৬ সদস্যের একটি কমিটি করে জাতীয়ভাবে সারাদেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পর্যবেণ প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ এমন একটি প্রতিবেদন বিআরটিএ আদালতে দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই এবং ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞান সম্মত একটি পর্যবেণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech