কানাইঘাটে এখনো জমেনি শতিকালীন সবজি’র হাট

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯

কানাইঘাটে এখনো জমেনি শতিকালীন সবজি’র হাট

আমিনুল ইসলাম-কানাইঘাটঃ হেমন্তের পর আসে মাঘের সন্ন্যাসী শীত। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে শীতকালের যাত্রা। শীর্ণ, ও শুষ্ক প্রকৃতিতে পাতাহীন গাছের ডালগুলো কেঁদে উঠে বুকফাটা হাহাকারে। কুয়াশা ঢেকে দেয় সবকিছু। তবে খেজুর রসের পায়েস, টাট্কা শাকসবজি আর নানা রকমের পিঠা বাঙালীর জীবনে বয়ে আনে খুশির জোয়ার। আর সেই জোয়ারের অপেক্ষা করতে হবে আমাদের আরো কিছুদিন।

কানাইঘাটের ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম, টমেটো, সীম ইত্যাদি পেতে হলে হেমন্তের ইতি হতে হবে। যেহেতু এগুলো শীতকালীন সবজি। জানা যায় খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রচুর শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউপি থেকে শুরু করে উত্তরের সীমান্তবর্তী মুলাগুল আর পুর্বে দনা সীমান্ত পর্যন্ত সুরমা ও লোভা নদীর উভয় চর জুড়ে গড়ে উঠেছে শীতকালীন সবজি’র বাগান। এ ছাড়াও পাহাড় বেষ্ঠিত এ উপজেলার অসংখ্য ছোট বড় টিলার নিচে চাষ করা হয়েছে নানা ধরণের শাক-সবজি। গতকাল শুক্রবার সকালে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় শীতকালীন এসব শাক-সবজি পুরোদমে বাজারে উঠতে আরো কমপক্ষে ১৮-২০ দিন সময় লাগবে। এরপর পুরোদমে বাজার জমবে খেয়াঘাট নামক সুরমা নদীর তীরে। দেখা মিলবে দেশীয় ফুলকপি, বাধাঁকপি, টমেটো, সালগম, শিম, মুলা, বেগুন, শসা, পানী লাউ, মিষ্টি লাউয়ের। নদীর তীরে বাধাঁ থাকবে সারি সারি সবজি ভত্তি ডিঙ্গি নৌকা। পাইকারী সবজি’র হাট হবে সপ্তাহের প্রত্যেক শনি ও মঙ্গলবার। তবে প্রযুক্তির এ যুগে এখনকার বাজারে প্রায় সারা বছর শীতকালীন অনেক সবজি’র দেখা মিলে। কিন্তু স্বাদহীন অপরিপক্ব এ সবজি গুলো মানুষের রুচি নষ্ট করে দেয়। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সময়ে আগে বেশী অর্থের লোভে অপরিপক্ব শাক-সবজি বাজারে নিয়ে আসে। কারন ইতিমধ্যে সিলেটের বাহির থেকে নিয়ে আসা ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম ও শীমে উপজেলার প্রতিটি বাজার সয়লব হয়েছে। অপরিপক্ব এসব সবজি দেখে অতি উৎসাহিত কিছু অনলাইন পোর্টারের রির্পোটার’রা লিখেছেন “কানাইঘাটে জমে উঠেছে শীতকালীন সবজির হাট”। বাস্তবতা হচ্ছে কানাইঘাটে এখনো জমে উঠেনি শীতকালীন সবজির হাট। আর উঠবেই’বা কেন? কারন এখনো’তো শীতকাল আসেনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর