ঢাকা ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন।
মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেশহিদ মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত।
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নত্র। শহিদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’
গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে।’ নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার।’
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।’
বাণীতে ডা. মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech