তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৮

তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

ডেস্ক প্রতিবেদন
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান ইসমাইল মন্ডল (৬৫)। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।

ইজতেমা পরিচালনাসংক্রান্ত বিরোধে সকালে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পুরো সড়কে আটকা পড়েছেন যাত্রীরা।

আব্দুল্লাহপুর জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আসাদ জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে বিমানবন্দর মোড়ে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের সঙ্গে মাওলানা জুবায়েরের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

তুরাগের তীরে প্রতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষজন সমবেত হন এখানে। দুই পরে মতবিরোধের কারণে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ইজতেমা গত মাসে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদের সমর্থকরা ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমা এবং ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে দেওবন্দপন্থী মাওলা জুবায়েরের সমর্থকরা ৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমা এবং ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমার ঘোষণা দেয়। এর পরিপ্রেেিত ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বৈঠকের পর ইজতেমা স্থগিত ঘোষণা করে।

পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিতে যান সাদের সমর্থকরা। তাদের জমায়েত ঠেকাতে দেওবন্দপন্থী মাওলানা জুবায়েরের সমর্থকরা ইজতেমা ময়দানের ফটকে অবস্থান নেয়। ফলে সাদপন্থীরা কেউ ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে পারেনি শুক্রবার।

শনিবার ফজর নামাজের পর ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে চেষ্টা করলে দুই প মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং পরে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহত শতাধিক ব্যক্তি আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। টঙ্গী আহসানউল্লাহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ১৩৮ জনকে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেরে চিকিৎসক আশীষ কুমার বণিক জানিয়েছেন, বেশিরভাগ আহতের মাথায় আঘাত রয়েছে। গুরুতর আহত ২৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের দুই পরে বিরোধিতা চরমে রূপ নেয় গত জানুয়ারিতে ইজতেমায়। ওই সময় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা নিয়ে এক পরে বিরোধিতার কারণে ঢাকায় এসেও ফিরে যেতে হয় মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে। সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি কোরআন ও হাদিস নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর