ঢাকা ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী এবং তাদের পরিবারের অর্জিত সম্পদের হিসাবে কোনো অসামঞ্জস্য বা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনের পূর্বে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীরা তাদের আয়-ব্যয়ের বা সম্পদের বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দেন, যা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অনেক প্রার্থী বা তার পরিবারের অর্জিত সম্পদ পূর্ববর্তী নির্বাচনে জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবের তুলনায় বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন ও বিধিসম্মত কি না তা খতিয়ে দেখা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত এসব সম্পদ বিবরণীর যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে সম্পদের উৎস সম্পর্কে নিরপেভাবে নিশ্চিত হওয়া এবং আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় েেত্র কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও উচিত প্রার্থীদের ঘোষিত সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করে বাস্তবের সাথে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা বা অন্য কোনো প্রকার অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। এেেত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বা দলীয় অবস্থান নির্বিশেষে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো বিশেষ দলের প্রতি পপাতিত্ব বা বৈষম্য করা হলে তা হবে অবিমৃশ্যকারিতা।’
প্রার্থীদের পবিবারের সদস্য এবং নামে-বেনামে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিষয়েও তদন্তের জোর দাবি জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, ‘প্রার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ও অর্জিত সম্পদের উৎস সম্পর্কে খতিয়ে দেখা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, পূর্বের তুলনায় সম্পদ বৃদ্ধির হারের তারতম্য খতিয়ে দেখার মাধ্যমে মতার অপব্যবহারের ব্যাপকতা চিহ্নিত করা এবং প্রযোজ্য েেত্র জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী খতিয়ে দেখার বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যানের বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তবে আমরা মনে করি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরিপ্রেেিত প্রার্থীদের সম্পদের উৎস ও তুলনামূলক বৃদ্ধির হার যাচাই-বাছাই করে কোনো অনিয়ম বা অসামঞ্জস্য পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভোটারদের সামনে তার দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরা জরুরি। কারণ, আইনপ্রণেতা হিসেবে কেউ যদি অবৈধ সম্পদ অর্জনের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার সংসদে তার সদস্য হবার কোনো বৈধতা ও নৈতিক যোগ্যতা থাকতে পারে না বলেই আমরা মনে করি।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech