ঢাকা ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৩
১৯৭১ সালে ৯ এপ্রিল মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ (পূর্বের সিলেট সদর হাসপাতালে) কর্তব্যরত অবস্থায় হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারানো শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান ও অ্যাম্বুলেন্স চালক কোরবান আলীসহ অন্যদের স্মরণ করেছেন সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
১৯৭১ সালে এই দিনে প্রাণ হারানো ৭ শহীদ স্মরণে প্রতিবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে নাগরিক মৈত্রী, সিলেট। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চৌহাট্টাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. রোকন উদ্দিন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. ফারুক উদ্দিন, ‘নাগরিক মৈত্রী’ সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সময় বিজয় সী শেখর, এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের ডা. শাহজামান চৌধুরী বাহার, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হোসেন মানিক, শাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক আলী আক্কাস সোহেল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সমাজসেবী ডা. নাজরা চৌধুরী, শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের ভাগ্নি ফরিদা নাসরিন, বাপা সিলেটের রোমানা বেগম রোজি, অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ দাস বাপন, মদন মোহন কলেজের প্রভাষক রাজীব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন, ফকির সোহেল, অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন দাস খোকন প্রমুখ।
শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ‘নাগরিক মৈত্রী’ সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সময় বিজয় সী শেখর। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধের নীতি লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমদ ও ডা. শ্যামল কান্তি লালা এবং তাদের কয়েকজন সহকর্মী প্রাণ হারান। ঘৃণ্য এ হত্যাকাণ্ডের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশমাতৃকার জন্য জীবন বলি দেওয়া বীর শহীদদের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।’
জাতির ওই সূর্যসন্তানদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের দাবি জানিয়ে সমর বিজয় সী শেখর বলেন, ‘নিজেদের দায়মুক্তির জন্য আমাদের উচিত শহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। আশা করি স্বাধীনতার সপক্ষের এ সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বিজ্ঞপ্তি
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech