ঢাকা ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
অভিভাবকদের ডেকে অপমানের জের ধরে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহননের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শিা মন্ত্রণালয়। একই সাথে তাদের এই তিনজন শিকের এমপিও বাতিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। অভিযুক্ত তিন শিক্ষক হলেন- ভারপ্রাপ্ত অধ্য নাজনীন ফেরদৗস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরা এবং শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডিকে প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদৌস, বেইলি রোড ক্যাম্পাসের প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া গভর্নিং বডির বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধে জড়িত থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপ। পরে অরিত্রীর বাবাকে জানানো হয় তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে। পরে সোমবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যা নাজনীন ফেরদৌস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অরিত্রীর পরিবারকে সান্ত¡না দিতে যান। এ সময় অরিত্রীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে তার ওপর চড়াও হন। এ সময় তিনি টিসি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত অধ্য নাজনীন ফেরদৌসকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech