ঢাকা ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম. এ. আহবাব বলেছেন, রোগ হিসেবে যার বয়স হাজার বছরের, প্রসার-প্রতিপতিত্বে গজেন্দ্রগামী, আহŸায়ক অনেক অসংক্রামকের, মহামারী আকারে যার বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা বিশ্বকে তাকে চিনতে-জানতে, নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের নাকি এখনই সময়। সেই সর্বনাশা শত্র“রূপী রোগটির নাম ডায়াবেটিস। যুগে যুগে, দেশে দেশে তার হরেক নাম- মধুমেহ, বহুমূত্র, ডায়াবেটিস মেলিশাস, এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস। গোটা বিশ্বে এখন প্রতি ৮ সেকেণ্ডে একজন করে ডায়াবেটিক রোগী মারা যাচ্ছে। এই ভয়াবহ সংবাদ ভাবিয়ে তুলছে মানুষকে। নীরব ঘাতক স্বভাবের ডায়াবেটিক রোগটি এমনিতেই দেহে বহু ব্যাধির (চোখ, হার্ট, কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাপক ক্ষতিসাধনে সক্ষম) আহŸায়ক। ডায়াবেটিস রোগটির অব্যাহত অভিযাত্রায় শঙ্কিত সবাইকে এটি নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবসকে (২৮ ফেব্রæয়ারি ১৯৫৬) ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস (বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠা দিবস)’র আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ললিত মোহন নাথের পরিচালনায় সমিতির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাসপাতালের অফিস সহকারী মোঃ লিয়াকত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ জেড মাহবুব আহমদ বলেন, প্রায় ৬৩ বছর পূর্বে ডায়াবেটিস রোগ এর জন্মলগ্ন থেকে এ দিবসটি পালনের প্রক্রিয়া চলছে, যাতে করে জনগণের মাঝে ডায়াবেটিস সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের এ আয়োজন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবসকে ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪২ দশমিক ৫ কোটি। অথচ ১৯৮৫ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি। এখনই এই রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। শারীরিক শ্রম, নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়া এবং ওজন ঠিক রাখাসহ সচেতনা এই রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।
উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমিতির কার্যকরি কমটির সম্মানিত সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সমিতির সম্মানিত জীবন সদস্য হাজী নেহাল আহমদ, হাসপাতালে আগত চিকিৎসা গ্রহণকারী হাজী সোনা মিয়া প্রমূখ।
এদিকে নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে হাসপাতাল প্রাঙ্গঁনে সকাল সাড়ে দশটা টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত ‘বিনামূল্যে ডায়াবেটিস সনাক্তকরণ কর্মসূচি’-র উদ্বোধন করেন সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ. জেড. মাহবুব আহমদ।
এছাড়াও সকাল ১০টায় সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরীর নেতৃত্বে হাসপাতাল প্রাঙ্গঁন থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, প্রতিপাদ্য সম্বলিত ব্যানার ও প্লে-কার্ড সহকারে এক ‘বর্ণাঢ্য র্যালি’ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech