বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগকে রাজাকার মুক্ত রাখার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৯

বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগকে  রাজাকার মুক্ত রাখার  দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

ডেস্ক প্রতিবেদন : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগকে রাজাকার, আলবদর মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের সন্তানরাও যাতে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের দলীয় কমিটিতে ঠাঁই না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন তারা।  শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন- বিয়ানীবাজারের সুপাতলা গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী।

.
সিলেটের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে প্রকাশিত রনাঙ্গন-৭১ এর বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়া ও দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে অপসারনের দাবি জানান ইদ্রিস আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ‘রনাঙ্গন-৭১ বইয়ের বিয়ানীবাজারের আল বদরের তালিকায় ২৩৩ নং ক্রমিকে রয়েছে বিয়ানীবাজারের খাসা দিঘীরপাড়ের আব্দুল খালিকের পুত্র আব্দুল হাসিব মনিয়ার নাম। বইতে উল্লেখ আছে- তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ ই জুলাই স্থানীয় সুন্দীর পিতা জামাল উদ্দিন হত্যার অন্যতম সদস্য। তালিকার ২২৩ নম্বরে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ আছে আব্দুল হাসিন মনিয়ার পিতা আব্দুল খালিকের নাম। অথচ গত ১৬ বছর ধরে আব্দুল হাসিব মনিয়া বিয়ানীবাজার উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের কাছে এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী হতে পারে।’

.
তিনি বলেন- তালিকায় ২২১ নম্বরে রয়েছে শান্তি কমিটির সদস্য চন্দগ্রামের কুটুচান্দ মেম্বারের নাম। এই কুটুচান্দের ছেলে হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল। একাত্তরের শান্তি কমিটির সদস্যের সন্তান হয়ে সে বীরদর্পে আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে। আউয়াল আওয়ামী লীগের নাম ও পদবি ব্যবহার করে আমাদের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে বিয়ানীবাজারে রাজত্ব করেছে। আওয়ামী লীগের এই তিন টার্মের শাসনামলে সে বিয়ানীবাজারে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। শত শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে ইতিমধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি- কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কখনোই দেশে লুটতরাজের রাজত্ব কায়েম করতে পারে না। একমাত্র দেশ বিরোধী পরিবারের সন্তানদের দ্বারা এটি সম্ভব।’
তিনি বলেন- ‘রাজাকার ও আলবদর মুক্ত আওয়ামী লীগের কমিটি হলে বিয়ানীবাজারের মানুষ সুযোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি সঠিক সেবাও পাবে। নতুবা লুটপাটকারীদের দখলে চলে যাবে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগ।’ এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় ও সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিয়ানীবাজারের মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন, মোসন আলী, শাহাব উদ্দিন ও ছইদ আলী।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর