ঢাকা ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। আপিল আবেদনে ২০টি যুক্তি দেখিয়ে সাজা থেকে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন চাওয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আপিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার নওশাদ জমির আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলামকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। হারিছ চৌধুরী পলাতক থাকলেও কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারিক আদালত।
রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech