ঢাকা ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেই সাত খুন মামলায় ১৫ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে দেয়া উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতিদের স্বারের পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৫৬৪ পৃষ্ঠার এই রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম গত ১৫ নভেম্বর মামলার রায়ে স্বার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, তৎকালীন র্যাব কর্মকর্তা লে. কর্নেল (চাকুরিচ্যুত) তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন— সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নূর হোসেনের সহযোগী মর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, রহম আলী, আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।
গত বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতল্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন— নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো.ইব্রাহিম।
ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech