জৈন্তাপুরে দেড় বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৮

জৈন্তাপুরে দেড় বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

জৈন্তাপুর সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার নিখোঁজ লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুর-কে হত্যার দেড় বছর পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তার মরদেহ তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহ জনক ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিল’র উপস্থিতিতে রোববার নিহত গফুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ, নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী স¤্রাট, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, জৈন্তাপুর মডেল থানা ও জগনাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আব্দুল গফুরের পরিচয় হয় আবুল কালাম আজাদের সাথে। ৮ মে ২০১৭ তার সাথে থাকা আবুল কালামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আব্দুল গফুর তার বন্ধু নূরুল হক কে দরগা মহল্লার হোটেল রাজমনীতে আসার অনুরোধ করেন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। সম্ভ্যাব্য সব স্থানে তার খোঁজ করে কোন সন্ধান না পাওয়াতে তার ভাতিজা লাল মিয়া ওই মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

জগনাথপুর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনির অবস্থান নিশ্চিত হয়। ২৫ নভেম্বর ২০১৮ জগন্নাথপুর থানার এইআই হাবিবুর রহমান’র নের্তৃত্বে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, মোকাম টিলার জুনাব আলী।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে পুলিশ হোটেল রাজমনী থেকে নিহতের ব্যগ এবং শিক্ষক আনোয়ার’র বাড়ি থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার করে।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, টাকার লোভে আবুল কালাম আজাদ প্রবাসী আব্দুল গফুর কে গলাটিপে হত্যা করে। তিনি মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন জানালে আবেদন তা মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ ২৪ খবর