ঢাকা ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৩
রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার দুর্গ আবার জান্নাত পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। রোজা রাখলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে পাকে এসেছে-
১. হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহ আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যার কারণে আমি জান্নাতে যেতে পারি। তিনি বললেন, তুমি রোজা পালন কর। কেননা, এর সম-মর্যাদাসম্পন্ন কোনো ইবাদত নেই।’ (নাসাঈ)
এ কারণেই রোজাকে বলা হয় রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। মহান আল্লাহর ঘোষণাও এমনই। হাদিসে কুদসিতে এসেছে-
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ঘোষণা করেন, আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি ভালো কাজ নিজের জন্য হয়ে থাকে, কিন্তু রোজা শুধু আমার জন্য, অতএব আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।’
হাদিসে কুদসিতে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের রোজা পালনকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির মজবুত দুর্গ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার এক মজবুত দুর্গ।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. অন্য হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় (শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য) একদিন রোজা রাখে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ (সত্তর) বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তী স্থানে রাখেন।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
সুতরাং রোজাদারের উচিত, যথাযথভাবে রমজানের রোজা পালন করে জাহান্নামের ভয়াবহতা ও আজাব থেকে নিজেদের রক্ষা করা। রোজা হোক জাহান্নামের মোকাবেলায় মজবুত ঢাল। যা থেকে বেঁচে থাকতে রোজাদার মুমিন মুসলমান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজাগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। রোজাকে জাহান্নামের দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। প্রত্যেক রোজাদারকে জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সৌজন্যে : জাগো নিউজ
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech