ঢাকা ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৪
মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে”বসুন্ধরা শুভসংঘ”।
শনিবার বিকাল ৪টায় বসুন্ধরা শুভসংঘ কোম্পানীগঞ্জ শাখার উদ্যোগে শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে বন্যার্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে ছিল চাল, ডাল, আলু, মুড়ি, বিস্কুট।
বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী পেয়ে দারুণ খুঁশি বন্যার্ত অসহায়রা।
উপজেলার তেলিখাল গ্রামের বিধবা ইছমতুন নেছা বললেন, খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুব ভালো লাগছে, পরিবারে উপার্জন করার কেউ নেই, তাই খাবার জোগাড় করতে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়। এই খাবার কয়েকদিন ভালোভাবে খেতে পারবো। যারা দিয়েছেন সকলকে আল্লাহ ভালো রাখুক।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি মো. শরীফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদসহ শুভসংঘের নেতৃবৃন্দ বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালের কণ্ঠ পত্রিকার সিলেট ব্যুর প্রধান সাংবাদিক ইয়াহিয়া ফজল, যুগান্তর পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক সোহরাব আহমদ, শুভসংঘের সহ-সভাপতি মারজান উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব পলাশ, মোশাররফ হোসেন শাহিন, অর্থ সম্পাদক নাদিব হাসান আরমান, সহ অর্থ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু হোসেন পুষ্প, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্পনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নাঈম, কার্যকরি সদস্য নবীন চৌধুরী, আলহাজ উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর আলম, সহ-অর্থ সম্পাদক জিয়াদ আলী, ছাত্র নেতা মাইনুল ইসলাম প্রমূখ।
ত্রাণ সহায়তা পেয়ে শুকতারা (৫৫) বেগম বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শুকতারা বেগমের স্বামী মারা গেছেন দেড় বছর আগে। সাত মেয়ের মধ্যে তিন জনের আগে বিয়ে হলেও বাকি চার মেয়েকে নিয়ে এখন অকুল সমুদ্রের মধ্যে আছেন তিনি। বন্যা তার জীবন সংগ্রামকে আরো কঠিন করে দিয়েছে। চার মেয়ের মধ্যে ১৩ বছরের সানিয়া আক্তার ঝালমুড়ি বিক্রি করে মাকে সাহায্যের চেষ্টা করে।
শুকতারা বেগমের মতো ত্রাণ হাতে পেয়ে হাসি ফুটছে অসংখ্য বন্যার্তের মুখে। দেড় মাসের অধিক সময় ধরে বন্যাক্রান্তদের অনেকেই প্রথমবার ত্রাণ পেয়েছেন।
সাড়ে তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো হানিফ মিয়া স্ট্রেচারে ভর করে এসেছিলেন খাদ্য সামগ্রী নিতে। সঙ্গে আসা মেয়ের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলে দুজনের মুখেই দেখা দেয় হাসির ঝিলিক। হানিফ মিয়া বলেন, ‘এবারের বন্যায় কেউ ত্রাণ দেয়নি। প্রথম ত্রাণ পেলাম বসুন্ধরা শুভসংঘের। আল্লাহ আপনাদের আরো তৌফিক দান করুন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech