ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক সার্জান খাঁন
আর মাত্র একটি ভাঙ্গন হলেই চেঙ্গেরখাল নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে কলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঈছাকলস ইউনিয়নের কলাপাড়া যুগীর গাও গ্রামের চেঙের খাল নদীর তীরে অবস্থিত। চেঙ্গের খাল নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে বিদ্যালয়টির পাকা ভবন এর একটি দেয়াল। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই পুরো ভবন রাক্ষুসে চেঙ্গের খালের পেটে চলে যেতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। তাই চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
একই সাথে হুমকির মুখে পুরো জুগির গাও গ্রামের শতাধিক ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি। নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। এভাবে ভাঙ্ন অব্যাহত থাকলে বিলিন হয়ে যেতে পারে পুরো গ্রাম। এছাড়া মসজিদ মাদ্রাসা সহ রাস্তাঘাটও একসময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভাঙ্গনের হাত থেকে জনবসতি সহ সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।অন্যথায় অবর্ণনীয় ক্ষতির মুখে পড়বে এই এলাকার বাসিন্দারা।
বিদ্যালয় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বিদ্যালয় আসতে আমাদের খুবই ভয় করে। বিদ্যালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায়। আর একটু ভেঙে গেলেই বিদ্যালয় আর থাকবে না। আমরা মজবুত বেড়িবাঁধসহ বিদ্যালয়ে পাকা ভবন চাই। যাতে আমরা নিরাপদে পড়াশোনা করতে পারি।
এবং এই এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন,
চেঙ্গের খালের অব্যাহত ভাঙ্গনে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই চিন্তিত আছি। কলাপাড়া স্কুলের সাথে অত্র উপজেলার ২৩ টি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অধিদপ্তর থেকে তালিকা এসেছে এর মধ্যে কলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি এর প্রেক্ষিতে ২০১৯/২০ সালে ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরিক্ষা করা হয় অধবদি ভবন নির্মাণে কোন পদক্ষে নেয়া হয়নি এই তালিকাতে কয়েকটি স্কুলের কাজ হচ্ছেকিন্তু কলাপাড়া স্কুলের কাজ হয়নি।
বিষয়টি উপরস্থ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করে স্থায়ীভাবে ভবন নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এছাড়া স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মানের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech