ঢাকা ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
ক্রীড়া ডেস্ক : দ্বিতীয় দিনের সকালটা এর চেয়ে ভালো হতে পারতো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। প্রথম দিনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এদিনও ক্যাচ পড়েছে একটি। তবে ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ রাহীর নৈপুণ্যে দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ফিফটি করা চেতেশ্বর পুজারা এবং পরে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন সিলেটের এ পেসার। এর মধ্যে কোহলিকে কোনো রানই করতে দেননি রাহী। তিন বল খেলে শূন্য রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
.
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৯ রান। ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল খেলছেন ৫৮ রান নিয়ে। তারা এখনও পিছিয়ে ৩১ রানে।
দিনের প্রথম সাফল্যটা প্রথম ওভারেই পেয়ে যেতে পারতেন রাহী। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের অপেক্ষায় থাকা পুজারা অফস্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি সজোরে কাট করলে, তা ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় থার্ড স্লিপের কাছে।
কিন্তু বলের গতি এত বেশি ছিলো যে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদি হাসান মিরাজ। তার রিয়্যাকশন টাইম খুব ধীর হওয়ায় এবং একইসঙ্গে বল থেকে চোখ সরিয়ে নেয়ার ফলে আঙুলে লেগে বলটি চলে যায় সীমানায়। পরের বলে একই অঞ্চল দিয়ে চার মেরে নিজের ফিফটি পূরণ করেন পুজারা।
আর ক্যাচ ছুটে যাওয়া বলটি এত জোরেই আঘাত হানে মিরাজের আঙুলে যে, প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামানো হয় সাইফ হাসানকে। তার হাতেই আসে দিনের প্রথম সাফল্যটা।
.
দ্বিতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারে অল্পের জন্য মিস হলেও, দ্বিতীয় ওভারে ঠিকই উইকেট তুলে নেন রাহী। ব্যাটসম্যান ছিলেন সেই পুজারাই। এবার তিনি সপাটে ড্রাইভ করতে যান। কিন্তু ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় ওয়াইডিশ ফোর্থ স্লিপে দাঁড়ানো সাইফ হাসানের হাতে। যিনি নেমেছিলেন ক্যাচ ছেড়ে ব্যথা পেয়ে মিরাজের বদলি হিসেবে।
শুধু পুজারাকে ফিরিয়েই থেমে থাকেননি রাহী। নিজের পরের ওভারেই তুলে নিয়েছেন ভারতের সবচেয়ে বড় উইকেটটি। শুরুতে উইকেটের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য রক্ষণাত্মক ভঙিতে খেলার দিকেই মন দেন কোহলি। দুই বল খেলেন সাবধানে।
কিন্তু রক্ষা পাননি মুখোমুখি তৃতীয় বলে। রাহীর করা শার্প ইনসুইং ডেলিভারিটি ঠিকঠাক জাজ করতে পারেননি কোহলি। সময়মতো ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করেন তিনি। কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পেছনের পায়ে।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। উইকেটরক্ষক লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নিতে সময় নষ্ট করেননি অধিনায়ক মুমিনুল। রিপ্লেতে দেখা যায় বল আঘাত হানত মিডল-লেগ স্টাম্পে। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ শিবির।
কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি দশম ডাক। এছাড়া ঘরের মাঠে মাত্র তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে ফিরলেন তিনি। এদিকে কোহলি ফেরার আগেই নিজের অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech