ঢাকা ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশের দুটি গাড়িতে যারা আগুন দিয়েছিল তাদের আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা সকলেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। আমাদের একটি এপিসিতেও আগুন দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ড্রাইভারের বুদ্ধিমত্তার কারণে আমরা সেই গাড়ির আগুন নেভাতে সম হই। আমাদের ৫ জন অফিসারসহ ২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা দেখেছি, বাঁশ-লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের পেটানো হয়েছে, ইট-পাটকেল নিপে করা হয়েছে। অনেককে পেছন থেকে পেটানো হয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বিশেষ করে, এটিএন নিউজে এটি পরিষ্কার দেখা গেছে, একজন পুলিশকে কীভাবে পেছন থেকে ধাওয়া করে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে কোনোরকমে বের হয়ে একটি ব্যাংকে প্রবেশ করে, পরে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তার জীবন রা পায়। এটি শুধু পুলিশের ওপর হামলা না, একটি বড় ধরনের হামলার পূর্ব-পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, ঘটনা পর্যালোচনা করে এরই মধ্যে আমরা মামলা গ্রহণ করেছি, ঘটনাস্থল থেকে চিহ্নিত করে ৬০ জনের মতো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজ দেখে আমরা তাদের শনাক্ত করার কাজ অব্যাহত রেখেছি। নিরপেভাবে সচেতনতার সাথে মামলা তদন্ত করার জন্য এরই মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ এবং মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশনের চৌকষ অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনজীবনকে দুর্বিষহ করা, জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে একটি ইস্যু তৈরি করার জন্য এই ধরনের নগ্ন ও পৈশাচিক হামলা করেছে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech