ঢাকা ৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: এম.এ.ওয়াহিদ সোয়েব
অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় তেমনটা লক্ষ করা যায় নি।এই তীরবর্তী এলাকার মধ্যে বালাগঞ্জ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ এবং দক্ষিণ সুরমা এলাকা উল্লেখযোগ্য।মৌলভিবাজারে “জুড়ী” ও “মনু” নদের পানি কুশিয়ারা নদীতে মিলিত হয়েছে সেজন্য কুশিয়ারার পানি নামছে ধীরগতীতে।দক্ষিণ সুরমা এলাকায় যে বরবাঘা নদী রয়েছে সেটি বালাগঞ্জ দিয়ে ও প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে গত দুই দিন ধরে পানি সমান ভাবেই প্রবাহিত হচ্ছে।যদিও অন্যান্য এলাকায় অনেকটা পানি কমছে,যেহেতু হাওর এবং বিল পানিতে পরিপূর্ণ সেহেতু পানি পারাপার হওয়ার জন্য যে পর্যাপ্ত যায়গা প্রয়োজন তা পাচ্ছে না।
অনেকের ঘর থেকে পানি নামলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বিশেষ করে যাদের মাটির ঘর রয়েছে তারা আরও অধিক কষ্টে রয়েছেন এবং তাদের ঘর মেরামতের কাজ করছেন।নিম্নাঞ্চল এলাকার মধ্যে যারা বসবাস করছেন তাদের লাখ টাকার ফার্নিচার নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকেই আশ্বস্ত করেছেন।দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলকার ৬ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন যে,গত ২০২২ সালের বন্যায় তার অনেক লোকসান হয়েছে,পুকুরের পাড় ডুবে যাওয়ায় মাছ বের হয়ে গিয়েছিল।এই বছর তার বেতিক্রম ঘটেনি,হাওরে তার চারটা পুকুর ছিল যার সবকটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে,প্রায় কয়েক লাখ টাকা তার লোকসান হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে পানির লাগি গাড়ি চালাইতে পারছি না। আর এখন ভাঙা রাস্তার লাগি গাড়ি চালাইতে পাররাম না।‘এলাকার সবাই সরকারের কাছে বন্যার প্রতিকার এবং বারবার হওয়ার বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, আগে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদ-নদীর পানি বেড়েছিল। বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুই দিন ধরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় পানি নামতে শুরু করেছে। তবে হাওর ও নদ-নদীগুলোয় পানি বেশি থাকায় পানি নামতে কিছুটা সময় লাগছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ৭২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ ঠাঁই নেন। গত শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরসহ বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ২২ হাজার ৬২৩ জন অবস্থান করছিলেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech