ঢাকা ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। দিনটি ছিল শনিবার সকাল ১০টা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপক্ষা করেই পথচলা শরু হয় সমকাল সুহৃদদের। খাদিম চা বাগানের পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে শুরু পথচলা। তাদের গন্তব্য ৪নং খাদিমপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যলয়ে অপেক্ষায় ছিল বেশ কিছু শিশু। তাদের জন্য সমকাল সুহৃদ সদস্যরা নিয়ে যান বেশ কিছু শিক্ষা সামগ্রী। আর সেগুলো হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে শিশুরা।
সকাল সাড়ে ১০টায় সমকাল সুহৃদরা যান রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে গরিব ও অসহায় শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাতা ও কলম। একইভাবে দুপুরে সুহৃদরা যান ৪ নং খাদিমপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। সেখানেও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এসব শিক্ষা উপকরণ। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করলেও তাদের শিক।সা উপকরণের ছিল অভাব। এসব অভাব অভিযোগ শুনে সমকাল সুহৃদরা ছুটে যান তাদের কাছে। সাধ্য অনুযায়ী তারা শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন তাদের হাতে।
খাদিম চা বাগানের শ্রমিক ভাসানী গোয়ালা ছেলের হাতে খাতা ও কলম দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধর্ েতার ছেলে কলম আর খাতার জন্য তাকে তাগাদা দিচ্ছিল। কিন্ত টাকা অভাবে সেগুলো কিনে দিতে পারছিলেন না। তিনি এ ধরনের উদ্েযাগ নেওয়ায় সমকাল সুহৃদদের সাধুবাদ জানান।
মেয়ের হাতে খাতা কলম দেখে নিজ থেকেই এগিয়ে যান মহিমা ছত্রী। তিনি বরজান চা বাগানের শ্রমিক। তিনি বলেন, যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে খাতা কলম কিনে দিতে হিমশিম খেতে হয়। এগুলো আমার সন্তানের অনেক উপকারে আসবে।
রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিকাশ রঞ্জন দাশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় অযতেœ বেড়ে উঠছে চা বাগানের শিশুরা। আশপাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চা বাগানের শিশুরা। এছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরনের অভাবে প্রাথমিক শিক্ষাও সম্পন্ন করতে পারছেনা অনেক শিশু। ফলে অকালে ঝড়ে পরছে তারা। তিনি আরো বলেন, তার স্কুলে একটি কাসরুমেই ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করানো হয়, আর দুজন শিক স্কুলে শিা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। স্কুলে ব্রেঞ্চ, চেয়ার টেবিল কিছু নেই। এ কারনে মেঝেতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হয়।
খাদিমপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা কলি রানী দাশ বলেন, জরাজীর্ণ কøাস রুমেই বসে আমরা শিশুদের পাঠদান করে থাকি। বিদুৎ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় পাঠদান বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়া একটি রুমে গাদাগাদি করে বাচ্চাদের লেখাপড়া করতে হয়।
সমকাল সহৃদ সমাবেশের সভাপতি সুব্রত বসুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজিত দাশের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব চৌধুরী। ব্ক্তব্য রাখেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশের অর্থ সম্পাদক পংকজ কান্তি রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সাবের হোসেন রানা, পাঠচক্র সম্পাদক লিটন চন্দ্র শীল, দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমদ, সুহৃদ জয় বৈদ্য শিপলু, মো. মিনহাজ। বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষী রাণী সরকার, সুমী মাহালী, নীতি বসাক, মিলন মান্না, সুমনা বসাক প্রমুখ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech