ঢাকা ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ভানুগাছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মাত্র ১২৫০ হেক্টর আয়তন নিয়ে ১৯৯৬ সনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর শত শত একর বনভূমি বেদখল হয়ে আছে। বেদখল হওয়া এসব বনভূমিতে চাষাবাদ হচ্ছে লেবু, আনারসসহ অন্যান্য ফসলাদি। প্রতি বছর ভূমি দখলের পরিসর সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংকট ও উদ্যানের পরিসর ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। বনের জীব-বৈচিত্র্যসহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি উদ্যানের দখলকৃত এলাকা ঘুরে জানা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ডরমিটরি টিলা সংলগ্ন পূর্ব এলাকায় প্রায় ১৫ একর ভূমি দখল করে গত চার বছর ধরে লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ডরমিটরি এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে হীড বাংলাদেশ অফিস সংলগ্ন জাতীয় উদ্যানের আরও একটি টিলার প্রায় ১৫ একর ভূমি দখলে নিয়ে লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। লেবু বাগান ঘেষা টিলা সমুহে গাছগাছালি ও লতাগুল্ম কেটে টিলা খসে নতুন করে বাণিজ্যিকভাবে আবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব টিলায় দীর্ঘদিন ধরে টিনশেড ঘর করে লোকজন বসানো হয়েছে দখলকৃত টিলা দেখভালের জন্য।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নির্দ্বিধায় এসব টিলাভূমি দখলে নিয়ে নিজেরা আধিপত্য স্থাপন করলেও বন্যপ্রাণী বিভাগ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। তাছাড়া এসব বিষয়ে বন্যপ্রাণী বিভাগের তেমন তৎপরতাও পরিলতি হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যারা এসব ভূমি দখল করছে তারা এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে লেবু বাগান গড়ে তোলে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। এদের কেউ কেউ ইতিপূর্বে জাতীয় উদ্যান সহব্যবস্থাপনা কমিটির সাথেও সম্পৃক্ত ছিল। ফলে জাতীয় উদ্যানের সার্বিক বিষয়াদি তাদের গোচরিভূত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগের বিভাগীয় সহকারী বন সংরক মো. আনিসুর রহমান জানান, আপনাদের কাছ থেকে সংবাদ পাওয়ার পর ডরমিটরি এলাকা সংলগ্ন দখলকৃত এলাকা উচ্ছেদ করে আমাদের আওতায় নিয়ে আসছি। হীড বাংলাদেশ সংলগ্ন অফিসের পার্শ্ববর্তী টিলা দখলে নিয়ে টিনশেড ঘরে লোকজনের বসবাস বিষয়ে জানা নেই। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগের বিভাগীয় বন সংরক আবু মুছা মো. মুহিত বলেন, সংবাদ পেয়ে দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হীড বাংলাদেশ সংলগ্ন টিলায় দখলের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। যে কেউ দখল করলে উচ্ছেদ করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech