ঢাকা ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, শিক্ষিত হয়েও দেশের জনগোষ্ঠীর একটা অংশ স্বেচ্ছায় বেকার থাকছেন। তারা নিজে থেকে কিছু করারও চেষ্টা করেন না। এরা সমাজের বোঝা হয়ে সমাজকে নষ্ট করছেন।
শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘২০১৯ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুসিভ সামিটে’ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ট্রাস্টি বোর্ডের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ইমরান রহমান। এছাড়া, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদির, ফার্ণ সফটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেবি ওয়াটনিস এবং ফিন্যান্সশিয়াল ইনক্লুশনস, ইনোভেশন ফর প্রভার্টির পরিচালক রেবেকা রোস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন
প্রধান অতিথির ভাষণে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অধিক উৎপাদনে কৃষি থেকে শিল্পে ঢুকছি। শিক্ষা চলে গেছে গ্রামে গ্রামে। যেটা শ্রমের প্রধান উৎস। প্রযুক্তিও সমান তালে ঢুকে যাচ্ছে। বেশি সচেতন হওয়ায় গ্রামের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কৃষিতে থাকছে না। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শহরমুখী হচ্ছে। শহরে যেসব কাজ, সেসব কাজের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু কাজ অনুযায়ী যোগ্য মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেশিরভাগ লোক শহরে এসে বেকার হয়ে পড়ছেন।
তিনি বলেন, আরেকটি গ্যাপ আছে। কিছু লোক আছে, তারা বেকার বাই চয়েজ। তারা গ্রামে যাবে না। যে চাকরিটা তাকে দেওয়া হচ্ছে বাজারের প্রয়োজনে, এটা সে করবে না। সে চায়, চেয়ারে পা দুলিয়ে কাজ করবে। এটা আধা-কাজের মানসিকতা। এটা এখন সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাজ করতে হবে হাতে-কলমে। বাজারে যেটার চাহিদা আছে। এজন্যও কিছু লোক বেকার।
দেশের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর মানসিকতাও রয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কিছু আছে তরুণ, তারা অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে পশ্চিমে-উত্তরে যেতে চায়। সেটারও ব্যাখ্যা আছে। আমাদের দেশের বাজারে তারা যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছে না। বিদেশে গেলে তারা এমন কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করবে যেটা আমাদের সমাজে নানা সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত কারণে দিচ্ছে না। সুতরাং এসব হাজার হাজার তরুণ-যুবক ওই জীবনের খোঁজে যেতে চান।
শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বিকাশ, ডাচ-বাংলার মতো ব্যাংকিং খাত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই খাতে গ্রামীণসহ সব ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুসিভ সামিট। এ ধরনের সম্মেলন বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় অংশ কিছুদিন আগেও ছিল আর্থিক খাতের বাইরে। সরাসরি বিনিময় হতো মানুষের হাতে। নিখুঁত টাকা ঢুকবে, ঘুরবে বেশি, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। এটাকে ত্বরান্বিত করলে আমাদের লাভ হবে বেশি। এজন্য ব্যাংকগুলোকে আমরা আইন করে বলছি, গ্রামে শাখা খুলতে হবে।
তিনি বলেন, পাওনা বেতন-ভাতা ইত্যাদি বিকাশ, ডাচ-বাংলাসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামে পাঠানো হয়। এছাড়া, যেসব সহায়তা দেওয়া হয় গ্রামের কৃষক, মৎস্যজীবী বা অন্যদেরকে, সেগুলো নগদ দেওয়া হয়। এই যে আমাদের ইনক্লুশন বা অন্তর্ভুক্তিকরণ করা; আমি মনে করি, এই সম্মেলন এই অন্তর্ভুক্তিকরণে সহায়তা করবে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করি, তারাও সেটাই করে। তবে দেশের বাইরে থেকে প্রযুক্তি এনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সবার সচেতন থাকতে হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech