জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ হবে না : কাদের

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ হবে না : কাদের

ডেস্ক প্রতিবেদন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ হবে না। জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে সদ্য পদত্যাগ করা দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। যদিও অফিসিয়ালি তারা এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি। আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার এগিয়ে চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।

জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।

জামায়াত যদি নতুন নামে আসে, তাহলে কী হবে- প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরাতন মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরাতন আদর্শই যদি তাকে, তাহলে তো একই কথা।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, ‘আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম’। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তার কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও নেই।

তিনি আরও বলেন, ৭৫’ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লষকরা তাকে বলেন স্টেটসম্যান। এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন- এটা আমরা এই মুহুর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাকে ছাড়বে কি-না, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কি-না সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে করতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর