ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার (২৪ ফেব্র“য়ারি) সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। এরপর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ওই ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর জানায়।
ঘটনার পর রাত ৯টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম মাহদি। তার শেষ কথা ছিল তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আর তার হাতে একটি পিস্তল ছিল।
এর আগে রোববার বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করে বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি। সেখান থেকে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমান থেকে নিরাপদে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডোরা।
কমান্ডো অভিযান শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান।
রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীকে জখম অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার পৌনে ১ ঘণ্টা পর আরেক সংবাদ সম্মেলনে এসে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জানান, আহত ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ‘মাহদী’- শুধু একটুকুই বলতে পেরেছেন অভিযানে থাকা সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা। তার আর কোনো পরিচয় তিনি দিতে পারেননি। অভিযানের আগেই বিমানের ১৩৪ জন যাত্রীর সবাই নিরাপদে নেমে আসেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন।
ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী একজন ক্রুকে জিম্মি করেছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক ও সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে জানান। তবে পাইলটসহ ক্রুদের সবাই অক্ষত বলেই জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযান শেষে রাত ৮টা থেকে বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক বলে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech