ঢাকা ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্বাচনী আইন ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। সংশোধিত আরপিওতে অনলাইনে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সংসদ অধিবেশন না থাকায় এই আইনের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু এখন আর সংসদ অধিবেশন বসবে না। তাই আইনটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির বলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে। আইনের ধারা ২ এ ইভিএমের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণে সনাতন পদ্ধতির বদলে ইভিএম চালুর প।ে তবে আগামী নির্বাচনে পুরোপু্রি ইভিএমে ভোট না নিয়ে কিছু কেন্দ্রে এই যন্ত্রে ভোট নেয়ার পে তারা। এ লে নির্বাচন কমিশনের তিন হাজার ৮২ কোটি টাকার প্রস্তাবে সায়ও দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। এই টাকায় নেকা হবে মোট দেড় লাখ ইভিএম।
তবে বিএনপি এবং তার শরিকরা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী। তাদের আশঙ্কা, এই যন্ত্র দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এটি মতাসীন দলের ভোটে কারচুপির হাতিয়ার হবে।
তবে নির্বাচন কমিশন এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এই যন্ত্র দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। আর ইভিএম পরিচিত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেগুলো প্রদর্শনও করা হচ্ছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে রংপুর এবং চলতি বছর খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। কোথাও কোনো ঝামেলা পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনে বলা হয়েছে, ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ইন্টারনেটের কোন সংযোগ থাকবে না। ফলে হ্যাক করে মেশিনকে প্রভাবিত করা যাবে না।’ ইভিএম নিয়ে কেউ কারচুপি করলে এবং তা প্রমাণ হলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। সর্বোচ্চ সাত বছর আর সর্ব নিম্ন তিনবছর সাজার কথা বলা আছে এতে।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে আরপিও সংস্কারের জন্য একটি কমিটি করা হয়। আরপিও সংস্কারের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত নেয়া হয়। মাঠ কর্মকর্তা ও সংলাপে পাওয়া সুপারিশ পর্যালোচনা করে এই কমিটি সুপারিশ তৈরি করে।
এরপর গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক সভায় আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের (পরীা-নিরীা) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলিটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়। ভেটিংয়ের পর এটি গত সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ল্য থাকলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করছে।
তাদের আশঙ্কা এই ব্যবস্থায় সরকার ভোট কারচুপি করবে। এছাড়া এর আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে কমিশনের এ সংক্রান্ত বৈঠক ত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech