ঢাকা ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
তারেক রহমানের পর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দুর্নীতির একটি মামলায় দুই আদালতে সাজা হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী বিএনপি প্রধান নির্বাচনের অযোগ্য বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারা- দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারা- ও অর্থ- হয়েছিল। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল ওই কথা বলেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করবেন না তাঁরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির সাজা কমানোর যে আবেদন করা হয়েছিল, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়েছেন। দুদকের প থেকে সাজা বাড়ানোর যে আবেদন করা হয়েছিল, তা গ্রহণ করা হয়েছে। তা থেকে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়ি ১০ বছর করা হয়েছে।
এসময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী কোনো -প্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়াও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে মুখ্য অপরাধী, তা যুক্তি-প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া সকল আসামির সাজা দশ বছর করা হয়েছে।
অপরদিকে সুপ্রিম কোট আইনজীবী সমিতিতে নিজ কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাব না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া পরে জানাব।’ এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এ রায়ের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। অবৈধ রায় মানি না মানব না বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, যদি কোনো মন্ত্রী পদ থাকা অবস্থায় ২ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা না যায়, উনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা বাড়নোর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তিনি এই মামলার মূল আসামি। বিচারিক আদালতে এই মামলায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের আবেদন ছিল যাবজ্জীবন কারাদ-ের সাজা। এ কারণে আমরা রিভিশন করেছিলাম। এই রায়ে আপাতত আমরা সন্তুষ্ট।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech