ঢাকা ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আজকের মতো শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর। শুনানি শেষে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে আবারো রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। যদিও গত ৬ অক্টোবর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে একই কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে নাইকো মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আর এই শুনানি উপলে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে তাকে হাসপাতালের ৬১২ নম্বর ক থেকে বের করা হয়। পরে একটি কালো এসইউভি বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কারা আদালতে পৌঁছায়।
খালেদা জিয়াকে কারা আদালতে নেওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়া।
গতকাল বুধবার নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারের জন্য কারাগার ভবনে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসানোর আদেশ জারির পর আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয়।
তবে আদালতে হাজিরা শেষে খালেদা জিয়াকে আবারও বিএসএমএমইউতে আনা হবে নাকি কারাগারে রাখা হবে তা তাৎণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। যদিও খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র একটি গাড়িতে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাত, ডায়াবেটিস ও কোমরের ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকা খালেদাকে গত ৬ অক্টোবর হাসপাতালের ৬১২ নম্বর কে ভর্তি করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সকালে সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে কারা ভবনে বিশেষ এজলাসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, নাইকো মামলার শুনানি ও খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া উপলে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর আগে সকালে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন তিনি। এরপর থেকেই তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারেই ছিলেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে গত ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিলেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech