গোয়াইনঘাটে স্বামীর ওপর মিথ্যা মামলা অব্যাহতি চেয়ে পুলিশ বরাবর স্ত্রীর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

গোয়াইনঘাটে স্বামীর ওপর মিথ্যা মামলা অব্যাহতি চেয়ে পুলিশ বরাবর স্ত্রীর অভিযোগ

 

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাটে আরব আলীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জালাল উদ্দিন তিনি নিজেই ফেসে গেলেন। গত ৯ ডিসেম্বর গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানে সীমান্ত এলাকার ভারতীয় চোরাকারবারিদের মূলহোতা অস্ত্র মামলার আসামি জালাল উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক জালাল উদ্দিন উপজেলার নায়াগাঁও খুরি গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় অস্ত্র মামলা ও ভারতীয় চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার সোনারহাট এলাকা থেকে থানার এসআই জুনেলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

তাকে আটকের পর ১১ ডিসেম্বর সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আরব আলীর স্ত্রী শারমিন বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জালাল উদ্দিন তার স্বামী আরব আলীর মধ্যে পূর্বের শক্রতা চলে আসছে। জালাল তার স্বামীকে বিভিন্ন সময় বড় ধরণের বিপদে পালানোর হুমকি দিতেন। এরই সুবাদে গত ১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের কুলুম ছড়ারপাড় সাদ্দামের মাধ্যমে তার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর জন্য নেন। পরে আরব আমী তার আরেক বন্ধু বুগইল কান্দি গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেনকে সাথে নিয়ে যান। এরপর সাদ্দামের বাড়িতে ভাত খাওয়া অবস্থায় থানার এসআই জুনেল আরব আলীকে আটক করেন। এসময় সাদ্দামের মা একটি বক্স থেকে দুইটি বিদেশি রিভলভার এসআই জুনেলের হাতে তোলে দেন। পরে এসআই জুনেল আরব আলীকে নিয়ে ঘরের বাহিরে বের হন। এরপর এসআই জুনেল দুইটি বিদেশি রিভলভারসহ নোয়াগাঁও খুরি গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর ছেলে শারমিনের স্বামী আরব আলী (৪০)-কে গ্রেপ্তার দেখান। পরের দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং(১৫/১৯)।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুস শহীদ ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনছার মিয়াকে গত ৫ সেপ্টেম্বর দুটি অস্ত্রসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর ইউনিটের সদস্যদের হাতে আটক হন। তারা দুইজনই গোয়াইনঘাটের জালালের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। শহীদ ও আনছার প্রায় জালালের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। ওদের মাধ্যমে জালাল আরব আলীকে এই মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে আরব আলীর বাড়িতে সোনারহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে যান জালাল উদ্দিন। এসময় বিজিবি সদস্যরা আরব আলীর বাড়ির ছবি ও তার পরিবারের লোকজনের ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। কি কারণে ছবি তোলা হচ্ছে যানতে চাইলে জালাল বলেন। সময় হলে জানতে পারবেন। ওই দিন রাতেই সাদ্দামের বাড়ি থেকে আরব আলীকে আটক করেন এসআই জুনেল। বর্তমানে জালালের সাজানো মামলায় কারাভোগ করছেন আরব আলী।

উক্ত মামলাটি সুষ্ট তদন্তপূর্বক আরব আলীকে মিথ্যা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশ সুপারের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শারমিন বেগম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর