ঢাকা ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ক্রীড়া প্রতিবেদন :: একে পিচ ছিল ব্যাটিং সহায়ক। লক্ষ্যটাও ছিল মাঝারি। অধিকন্তু দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন লিটন দাস, আফিফ হোসেন ও শোয়েব মালিক। তিন ব্যাটিং স্তম্ভের নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হেসেখেলে হারাল রাজশাহী রয়্যালস। বন্দরনগরীর দলটিকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বরেন্দ্রভূমির ছেলেরা।
জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান তুলে তারা। ৩১ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রান করে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে আফিফ ফিরলেও থেকে যান লিটন। পরে তাণ্ডব চালাতেই থাকেন তিনি। চট্টগ্রাম বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালান এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন শোয়েব। সুযোগ পেলে তোপ দাগান তিনিও।
একপর্যায়ে হার মানেন লিটন। জিয়াউর রহমানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৪৮ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এ ব্যাটার। ততক্ষণে জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় রাজশাহী। পরে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন শোয়েব। শেষ অবধি
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম বোলিং বেছে নেন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চট্টগ্রাম। শুরুটা সতর্ক করেন দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। তবে একটু আগ্রাসী হতেই শোয়েব মালিকের শিকার হয়ে ফেরেন জুনায়েদ। ঝড় তুলতে পারেননি গেইলও। পর পরই আফিফের বলে বিদায় নেন তিনি। দুজনই করেন ২৩ রান করে।
পরে তাইজুলের বলে দ্রুত ফিনিশ হন ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। ফলে চাপে পড়ে চট্টগ্রামস। এ অবস্থায় চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি ক্যারিবীয় বিগ হিটার। তবে রানের গতি কিছুটা বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে তা বাড়িয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চালান নুরুল হাসান। ক্রিজে এসেই ঝড় তুলেন তিনি। যদিও খুব বেশিক্ষণ তাণ্ডব চালাতে পারেননি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানের ক্যামিও খেলে ফেরত আসেন তিনি।
টপঅর্ডাররা একে একে যাওয়া-আসা করলেও টিকে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। একপ্রান্ত আগলে রান বাড়িয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি। সেক্ষেত্রে অনেকটা সফলও হন সাইলেন্ট কিলার। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৩ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৪৮ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। মূলত তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech