ঢাকা ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০
মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম : কর্মসুচী বিমুখ দক্ষিণ সুরমার রাজনীতি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয়পার্টির কমিটি থাকলেও দলীয় কর্মসুচী নেই দীর্ঘদিন থেকে। বিএনপি সদ্য আহবায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করলেও তা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ। জাতীয় পার্টির কমিটি নেই একযুগ থেকে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সম্পাদক পেলেও দলীয় কর্মসুচী পালনে তৎপরতা নেই তাদের। মোট কথা, সিলেটের প্রবেশদ্বার খ্যাত দক্ষিণ সুরমায় রাজনৈতিক দল থাকলেও দলীয় তৎপরতা নেই কোনো সংগঠনের। ফলে, সৃষ্টি হচ্ছেনা নতুন নেতৃত্ব। কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
জানাযায়, সরকারি দল আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গেলো বছরের ২৫ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এডভোকেট শামীম আহমদ। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হলেও প্রত্যাশা বাড়ে নেতাকর্মীদের। কিন্তু প্রায় ৪ মাস পরও সভাপতি/সম্পাদকের নেতৃত্বে গঠিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দলীয় কোনো কর্মসুচীও ঘটা করে পালন করা হয়নি। তবে, জাতীয় দিবসগুলোতে পুস্পস্তবক অর্পন আর বিবৃতি প্রদানের মধ্য দিয়েই চলছে দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়ার কথা জেলা আওয়ামীলীগের। এখন পর্যন্ত জেলা কমিটি থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় উপজেলা কমিটিও জমা দিচ্ছেন না তারা। উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হলেও দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপিতেও একই অবস্থা। মাঠের রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি জেলা আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার দক্ষিণ সুরমায় নতুন আহবায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন। উপজেলা আহবায়কের দায়িত্ব লাভ করেন সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু এই আহবায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করার পর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ঘোষিত কমিটিকে বিএনপির অপর একটি পক্ষ মেনে নেয়নি। ফলে দক্ষিণসুরমায় দলীয়ভাবে মাথা তোলে দাঁড়াতে পারছেনা বিএনপি। এর ফলে চাঙ্গা হচ্ছেনা দলীয় কার্যক্রম।
এই প্রসঙ্গে জানতে ছাইলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম সিলেট প্রতিদিনকে জানান, দেশব্যাপী করোনা আতঙ্কের জন্য তারা কোন কর্মসূচি নিচ্ছেন না। তবে বিএনপি উপজেলায় কোনো বিরোধ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
অপর দিকে বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কমিটি নেই এক যুগ থেকে। দলীয় কোনো কর্মসুচিতে দেখা যায়না পুরনো কমিটিকে। নতুন কমিটি গঠনেও উদ্যোগ নেই সংগঠনটির। ফলে এক সময় দক্ষিণসুরমায় দলটির সাংগঠনিক অবস্থান বেশ জোড়ালো থাকলেও বর্তমানে অস্থিত্ব খোঁজাও মুশকিল। জেলার বিভিন্ন কর্মসুচীতে দক্ষিণ সুরমা জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতার অংশগ্রহণ ব্যতিত উপজেলায় তাদের কোন কর্মসুচী চোখে পড়ে না।
জানাযায়, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমানে মরহুম আকমল হোসেনকে আহবায়ক ও আহসান হাবীব মইনকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি করা হয়। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় জাতীয় পার্টি কোন পুর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি। যদিও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দুই থানা মোগলাবাজার ও দক্ষিণ সুরমা থানা কমিটি সম্প্রতি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহসান হাবীব মইন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটি না থাকলেও উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতারা বসে নেই বলে দাবী করে তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রোগ্রাম সফল করতে দক্ষিণ সুরমা জাতীয় পার্টির নেতারা নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech