হেফাজতের সঙ্গে আ.লীগের লোকজন জড়িত ছিল : শাল্লায় জাফরুল্লাহ

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২১

হেফাজতের সঙ্গে আ.লীগের লোকজন জড়িত ছিল : শাল্লায় জাফরুল্লাহ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনার তদন্ত সাত দিনের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। তবে সেটা অনন্তকালের তদন্ত নয়। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।’

 

মঙ্গলবার দুপুরে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন করে। তারা গ্রাম ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও মন্দির দেখেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

 

এ সময় তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মতো একটা জঘন্য ঘটনা দেখলাম। এই ঘটনা ঘটল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে, মন্দিরে হামলা হয়েছে। জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটাকে কীভাবে দেখছেন!’ তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত।

 

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, তারা সবকিছু জেনেও হামলা ঠেকাতে পারেনি। সরকারি দলের লোকজনও জানত। তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ভূমিকারও তদন্ত হতে হবে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘মসজিদে আজান হবে, নামাজ হবে, ইসলামের প্রচার হবে। মসজিদের মাইক উসকানিমূলক কাজে ব্যবহার করা ইসলামপরিপন্থী।’

 

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমদাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

১৭ মার্চ সকালে ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে পাশের চার গ্রামের মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের প্রায় ৮০টি বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় শাল্লা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর