আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ একে অপরের হৃদয় স্পন্দ : অ্যাড. নাসির

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২১

আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ একে অপরের হৃদয় স্পন্দ : অ্যাড. নাসির

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের ইতিহাস, দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে আত্মদানের ইতিহাস। সুখে-দুঃখে, দুর্যোগে-দুর্বিপাকে সর্বদা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের দৃপ্ত প্রত্যয়। আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের পথচলার সোনালী অর্জনের নাম বাংলাদেশ। এই রাষ্ট্র ও জাতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগের নিরলস লড়াই এখনো চলমান রয়েছে। সংগ্রাম ও স্নেহ-ভালোবাসায় একাকার হয়ে, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ- আজ একে অপরের হৃদয়ের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরব, সংগ্রাম এবং সাফল্যের ৭২ বছর পূর্তিতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান একথা বলেন।

 

সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক।

 

এরপর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবদী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত করতে যেসকল নেতাকর্মী আজীবন শ্রম দিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণ কারীদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা বাছিত, সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েস, তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন।

 

বক্তারা বলেন, যে আওয়ামী লীগের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দলটির নেতৃত্বেই অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় জন্মভূমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তাঁর উদ্যোগের ফলেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতায়। এরই মধ্যে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ অবস্থান করছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে অবকাঠামোগত নানা উন্নয়ন হয়েছে। সারাদেশে রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অবকাঠামো নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। এর মধ্যে মেট্রোরেল উল্লেখযোগ্য। দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এই সেতুর ফলে শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, বদলে যাবে পুরো দেশের অর্থনৈতিক চিত্র। এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ঢাকার আশপাশে নদ-নদী রক্ষা করে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায়ও চলছে নানাবিদ কর্মকা-। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণকাজ সহজ ছিল না। কিন্তু তা করে বিশ্বকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশ পারে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছেন। দিয়েছেন শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্লান। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের অভিমুখে ধাবমান। জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে “ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণ মুক্ত, উন্নত, আধুনিক, ডিজিটাল সোনার বাংলা বিনির্মাণে” সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

 

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, এড. নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মুক্তিযোদ্ধা সা’দ উদ্দিন আহমদ, এড. শাহ মোঃ মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এড. আজমল আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: মবশ্বির আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী রইছ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. ছালেহ আহমদ হীরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শ্রম সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো: নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, আবদাল মিয়া, এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, শাহিদুর রহমান শাহিন, এড. নুরে আলম সিরাজী, কামাল আহমদ, মোঃ আব্দুল বারী, আবু হেনা মোঃ ফিরোজ আলী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মোঃ জাকির হোসেন, এড. আফসর আহমদ, এড. ফখরুল ইসলাম, এড. মনসুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী। সিলেট জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সালমা সুলতানা প্রমুখ।

 

আলোচনা সভার আগে সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর