বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর স্থান হতে পারে না : হানিফ

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর স্থান হতে পারে না : হানিফ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত) জননেতা মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বোচিত গ্রেনেড হামলার রায় খুব দ্রুত কার্যকর করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি বারবারই নতুন জীবন পান। এখন সময় এসেছে রায় কার্যকর করার। খুব শীঘ্রই ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯ জনকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বিএনপি-জামাতের মদদপুষ্ট কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর স্থান হতে পারে না।

 

সোমবার সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোঁড়া গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও নিহত সকল শহীদদের স্মরণে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে। কিসের গণঅভ্যুত্থান? যারা পাকিস্তানের এজেন্ট। যারা ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে হত্যার পেছনে জড়িত। যারা জাতির পিতার হত্যকারীদের বিচার না করে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। যে জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন অথচ তিনি ছিলেন পাকিস্তানীদের এজেন্ট। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কুখ্যাত সন্তান তারেক জিয়া ও বাবর হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার যে নীল নকশা করেছিল তার অনুসারীরা গণ-অভ্যুত্থানের কথা বলে। লন্ডনে বসে গণ-অভ্যুত্থানের চিন্তা করলে হবে না। তিনি মির্জা ফখরুলকে হুশিয়ারি করে বলেন, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মত আর কোনো নারকীয় ঘটনা বাংলার মাটিতে জন্ম দেওয়া হবে না। যদি এ ধরনের ঘটনার চিন্তা করা হয় ও সাহস দেখানো হয় । তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। মনে রাখবেন এটা ১৯৭৫ সাল নয়, এটা ২০২১ সাল।

 

৫২’এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪’এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’ ও ৬৪’এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ ‘ এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ৬৮’এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ৬৯’ এর ৫ই ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ, বঙ্গবন্ধু উপাধি, ৭০’এর নির্বাচনে বিজয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান ছিল চিরস্মরণীয়। সুতরাং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সকল প্রতিকূলতা দূর করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত) জননেতা আহমদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি।

 

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, নুরুল ইসলাম পুতুল, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওয়র, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, মুক্তার খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দে, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিঃ আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, অ্যাডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, মাহফুজ চৌধুরী জয়, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল। মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন ও কানাই দত্ত।

 

তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ।

 

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জুনেদ আহমদ শওকত, হায়দার মোঃ ফারুক, মুহিবুর রহমান সাবু, হাজী মোঃ ছিদ্দেক আলী, সালউদ্দিন বক্স সালাই, মাহবুবুর রহমান মবু, অ্যাডভোকেট সরওয়ার চৌধুরী আবদাল, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, তাজ উদ্দিন লিটন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, অ্যাডভোকেট মোস্তফা দিলওয়ার আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, চন্দন রায়, অ্যাডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, ফজল রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেলিম, এম.এন ইসলাম ও মোঃ ছয়েফ খান সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর