ঢাকা ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪
প্রতিবেদক:এম.এ.ওয়াহিদ সোয়েব
যদিও এই সময়ে বাংলাদেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির কোনো ছোয়া নেই,অথচ সিলেটে গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন নদনদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটে শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। গতকাল শনিবারও সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতেই জেলার বন্যা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। যেহেতু সিলেটে এখনো বন্যা পরিস্থিতি শেষ হয়নি, তাই স্থানীয় প্রশাসন বন্যা মোকাবিলার যাবতীয় কার্যক্রমের মধ্যেই আছে। যদি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়, তাহলে সেই কার্যক্রমেরই সম্প্রসারণ ঘটবে।’
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্ক বাণী দিয়েছিল। গতকাল সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৪১ মিলিমিটার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম এখনো প্লাবিত। এসব এলাকায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। অন্যদিকে কিছু এলাকায় পানি নেমে যাওয়ায় বন্যার ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে। মানুষজনের বাড়িঘর দেবে গেছে। কারও কারও পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ফসল তলিয়েছে।
সর্বশেষ ১৭ জুন শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে সিলেট নগরের ২৪টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ১৩টি উপজেলা কমবেশি প্লাবিত হয়। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন করে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech