ঢাকা ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
মো. আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের পূর্ব সদরগড় ও ইব্রাহীমপুর গ্রামের মানুষ চলাচলের রাস্তার নির্মাণ কাজ হয়নি দীর্ঘ ৫০ বছরেও। প্রায় ৩০ বছরে হয়নি সুরমা নদীর তীরে ফেরিঘাটের যাত্রী ছাউনি। মানুষের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত রাস্তার নির্মাণ এবং যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা যায়, পূর্ব সদরগড় গ্রামের বাসিন্দা খোকা দাসের বাড়ি হতে ইব্রাহীমপুর আনন্দবাজার পর্যন্ত চলাচল রাস্তার কাজ হয়নি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে। ১০ ফুট প্রস্তের এবং অনুমান ৬ শত ফুট দৈর্ঘ্েযর এই রাস্তার চিহ্ন পর্যন্ত ম্লান হয়েছে। আছে শুধু মানুষের চলাফেরায় পায়ে চিহ্ন। এই রাস্তায় বন্যায় চলাচল করা সম্ভব হয় না। বৃষ্টিতে রাস্তায় চলাচলে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
অপরদিকে, ইব্রাহীমপুর গ্রামের আনন্দবাজারের পাশে সুরমা নদীর ফেরিঘাট পৌরসভা কর্তৃক প্রতিবছর ইজারা দিয়ে আসছে। এই ফেরিঘাট প্রায় ৩০ বছর যাবত ইজারা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌরসভা। কিন্তু ফেরিঘাটে বৃষ্টি বা বর্ষার দিনে যাত্রীদের বসার কোনো ছাউনি নেই। তাই মানুষের চলাচল সমস্যা নিরসনে রাস্তা নির্মাণ এবং দ্রুত সময়ের মধ্েয ফেরিঘাটে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
বুধবার সকালে ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা ফুল মিয়া জানান, পূর্ব সদরগড় থেকে ইব্রাহীমপুর আনন্দবাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। অপরদিকে, ফেরিঘাটে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা টিটু দাস বলেন, রাস্তায় প্রথমে উঁচু করে মাটি ভরাট করতে হবে, পরে পাকাকরণ হলে এলাকার মানুষের একটি স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ হবে। রাস্তা ও যাত্রী ছাউনি না থাকায় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং নারী, শিশু ও রোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গ্রামের অপর বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন, এই রাস্তা ব্যবহার করে ফেরি পার হয়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করেন। রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় এবং যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষায় মানুষ মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন।
এ সময় সদরগড় গ্রামের বাসিন্দা সুজন কুমার দাস, পিয়াস দাস, উজ্জ্বল দাস, সাগর দাস, শুভ দাস, সৌরভ দাস, ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, আশু দাস, রিপন দাস, আকাশ দাস, শুভ্রত বর্মণ, লিসকন বর্মণ, সুমন বর্মণ, কাজল বর্মণ, সুভাস মিয়া, জামাল মিয়া, মো. হারুন মিয়া. মো. মানিক মিয়া, মতিউর রহমান সাদ্দাম, নিখিল মালাকার, সজল মালাকার, দীপক দেবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বলেন, কিছুদিনের মধ্েয শহরের লঞ্চঘাটের সিঁড়ি ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে চাঁদনীঘাট ফেরির ইব্রাহীমপুরের ঘাটে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হবে।
সদর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সদরগড়-ইব্রাহীমপুর রাস্তার বিষয়ে কেউ কোনো সময় আবেদন করেননি। সড়কে মাটি ভরাট থাকলে আইডি নম্বর দিয়ে আবেদন করলে তদন্ত করে রাস্তা নির্মাণের জন্য উদ্েযাগ নেয়া হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech