ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় নোমান আহমেদ (১৮) নামে ধর্ষণকারীর সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশ এবং বাদী পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেফতারে বাঁধা দেয় আসামি পক্ষের লোকজন। এতে ধর্ষিতার পিতা আহত হন।
রোববার দুপুরে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও মামলার বাদী স‚ত্রে জানা যায়, গত(১৩-মার্চ) বুধবার রাত ১১টায় ধর্ষিতা শিক্ষার্থী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের ছাদ্দক মিয়ার পুত্র ইউসুফ মিয়া(৩৫) ও তার সহযোগী নোমান মিয়া(১৮) তাকে তুলে নির্জনে নিয়ে যায়। সেখানে নোমানের সহযোগিতায় ইউসুফ মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে তার পিতা খোঁজতে গিয়ে মেয়েকে একটি গাছের নীচে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারপর তাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসেন এবং জ্ঞান ফিরার পর মেয়ের মুখ থেকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। ধর্ষিতার পিতা বিষয়টি নিয়ে মামলা করতে চাইলে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে তাকে আটকিয়ে রাখেন স্থানীয় মোড়লরা। ঘটনার তিনদিন পরও কোন সমাধান সা হওয়াতে মেয়ের পিতা নবীগঞ্জ থানা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধর্ষণকারীর সহযোগী নোমানকে গ্রেফতার করে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম দস্তগীর জানান, ধর্ষণের অভিযোগের নোমান নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগে উলেখ আছে। এদিকে আসামিদের ধরতে এলাকায় গেলে আসামি পক্ষের লোকজন পুলিশী কাজে বাধার সৃষ্টি করে। এতে বাদি (ধর্ষিতার পিতা) আহত হয়েছেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি বলে ঘটনার মূল হোতা ধর্ষক ইউসুফ মিয়াকে গ্রেপ্তারে আবারও অভিযান চালানো হবে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech