গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা
সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, পর্যটন নগর হিসেবে সিলেট জেলার ব্র্যান্ডিং হল প্রকৃতিকন্যা। তাই পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র ধরে রাখতে হবে। গোয়াইনঘাটের পর্যটন খাতকে সমুন্নত রাখতে সরকার যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সবাইকে তা গুরুত্ব সহকারে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে নবাগত এই জেলা প্রশাসক স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী ও স্টোনক্রাশার মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে এমন কোন কাজ কখনোই করা যাবে না। আইন অমান্য করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে নির্দিষ্ট কোয়ারি এলাকা ছাড়া যত্রতত্র স্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা যাবে না।

তিনি শনিবার দুপুরে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, শিক প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গোয়াইনঘাটেরর ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন ও আফিয়া বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হক, প্রেসকাব সভাপতি এম এ মতিন সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ, বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি মাসুক আহমেদ ও সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু । এ সময় সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান, রেহেনা আক্তার ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আহমদ, খালেদ আহমদ, কামরুল হাসান আমিরুল সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।