শিগগিরই বাবরি মসজিদ মামলার রায়; বিজেপি’র সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৯

শিগগিরই বাবরি মসজিদ মামলার রায়; বিজেপি’র সতর্কবার্তা

ডেস্ক প্রতিবেদন : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চলতি মাসেই বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিতে পারে। বিতর্কিত এই মামলার রায় নিয়ে দলীয় নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে বিজেপি। ওই মামলার রায় নিয়ে ‘অবিবেচক ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে দল ও শাখা সংগঠনের নেতাদের সতর্ক করেছে দলটি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বৈঠকে আচরণবিধির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাবরি মসজিদ মামলার রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কথা না বলা পর্যন্ত তাদের কেউ কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
জানা গেছে, গত সোমবার দিল্লিতে বিজেপি কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই আচরণবিধির কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইতে বৈঠক করে দেশের সব প্রান্তের দলীয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানান, অযোধ্যা রায়ের দিন দলের আচরণবিধি নিয়ে সজাগ করা হয়েছে। মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী বলা পর কথা বলতে পারবেন। আর দলের পক্ষে অমিত শাহের বলার পর কর্মকর্তাদের কথা বলতে বলা হয়েছে।
বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে সতর্ক বিজেপি। দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকায় তা আরও তীব্র হয়েছে। দল চাইছে না বহু বিতর্কিত মামলায় রায় নিয়ে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির মন্তব্যে উত্তেজনা তৈরি হোক। তাই আচরণবিধি জারি করে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে দলীয় নেতাদের। বিজেপি নেতা বলছেন, অযোধ্যা বিচারাধীন বিষয়। তাই এ নিয়ে চর্চার কোনও প্রয়োজন নেই।

.
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, অযোধ্যা মামলায় কোর্ট যা রায় দেবে তা সকলের মেনে নেওয়া উচিত। তারপরই মোদি দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল ক্ষমতা নিয়ে সরকারে আসে।
জানা গেছে, তখন থেকেই রায়ের পরিণতি ঘিরে সতর্ক কেন্দ্রীয় শাসক দল। আরএসএসের পক্ষ থেকেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের আগামী ১০ থেকে ২০ নভেম্বরের সংগঠনের সব প্রচার বৈঠক বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে সময় কর্মকর্তারা সংগঠনের হেড অফিস বা আঞ্চলিক অফিসে থাকবেন। গত সপ্তাহেই এক বিবৃতিতে সঙ্ঘের তরফে বলা হয়, অযোধ্যা জমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় খোলা মনে সবাইকে মানতে হবে।
এদিকে, ২৭ অক্টোবর ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ২০১০ সালে যখন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাম জন্মভূমি নিয়ে রায় শুনিয়েছিল, সেই দিনগুলিকে একবার স্মরণ করুন। রায়ের আগে কোথা কোথা থেকে লোক চলে এসেছিল। বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধার জন্য উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্য কি কি ধরনের ভাষা বলা হচ্ছিল। কিছু বাক্যবাগীশ কী কী সব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছিল, আমাদের সব মনে আছে। এটা সাত থেকে ১০ দিন চলেছিল। কিন্তু যেই রায় হলো, এক আশ্চর্য ও আনন্দদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিদ্বজ্জনরা অত্যন্ত সাবধানী ও পরিণত বক্তব্য পেশ করেছিলেন। আদালতের রায়কে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন দেশবাসী এবং কোথাও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দেননি।
শিগগিরই বাবরি মসজিদ মামলার রায়; বিজেপি’র সতর্কবার্তা
ডেস্ক প্রতিবেদন
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চলতি মাসেই বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিতে পারে। বিতর্কিত এই মামলার রায় নিয়ে দলীয় নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে বিজেপি। ওই মামলার রায় নিয়ে ‘অবিবেচক ও উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে দল ও শাখা সংগঠনের নেতাদের সতর্ক করেছে দলটি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বৈঠকে আচরণবিধির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাবরি মসজিদ মামলার রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কথা না বলা পর্যন্ত তাদের কেউ কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
জানা গেছে, গত সোমবার দিল্লিতে বিজেপি কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই আচরণবিধির কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইতে বৈঠক করে দেশের সব প্রান্তের দলীয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানান, অযোধ্যা রায়ের দিন দলের আচরণবিধি নিয়ে সজাগ করা হয়েছে। মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী বলা পর কথা বলতে পারবেন। আর দলের পক্ষে অমিত শাহের বলার পর কর্মকর্তাদের কথা বলতে বলা হয়েছে।
বাবরি মসজিদ মামলার রায় নিয়ে সতর্ক বিজেপি। দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকায় তা আরও তীব্র হয়েছে। দল চাইছে না বহু বিতর্কিত মামলায় রায় নিয়ে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির মন্তব্যে উত্তেজনা তৈরি হোক। তাই আচরণবিধি জারি করে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে দলীয় নেতাদের। বিজেপি নেতা বলছেন, অযোধ্যা বিচারাধীন বিষয়। তাই এ নিয়ে চর্চার কোনও প্রয়োজন নেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, অযোধ্যা মামলায় কোর্ট যা রায় দেবে তা সকলের মেনে নেওয়া উচিত। তারপরই মোদি দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল ক্ষমতা নিয়ে সরকারে আসে।
জানা গেছে, তখন থেকেই রায়ের পরিণতি ঘিরে সতর্ক কেন্দ্রীয় শাসক দল। আরএসএসের পক্ষ থেকেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের আগামী ১০ থেকে ২০ নভেম্বরের সংগঠনের সব প্রচার বৈঠক বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে সময় কর্মকর্তারা সংগঠনের হেড অফিস বা আঞ্চলিক অফিসে থাকবেন। গত সপ্তাহেই এক বিবৃতিতে সঙ্ঘের তরফে বলা হয়, অযোধ্যা জমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় খোলা মনে সবাইকে মানতে হবে।
এদিকে, ২৭ অক্টোবর ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ২০১০ সালে যখন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাম জন্মভূমি নিয়ে রায় শুনিয়েছিল, সেই দিনগুলিকে একবার স্মরণ করুন। রায়ের আগে কোথা কোথা থেকে লোক চলে এসেছিল। বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধার জন্য উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্য কি কি ধরনের ভাষা বলা হচ্ছিল। কিছু বাক্যবাগীশ কী কী সব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছিল, আমাদের সব মনে আছে। এটা সাত থেকে ১০ দিন চলেছিল। কিন্তু যেই রায় হলো, এক আশ্চর্য ও আনন্দদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিদ্বজ্জনরা অত্যন্ত সাবধানী ও পরিণত বক্তব্য পেশ করেছিলেন। আদালতের রায়কে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন দেশবাসী এবং কোথাও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দেননি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর