দক্ষিণ সুরমায় অবাঁধে চলছে পরিবেশের ধ্বংসলীলা

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

দক্ষিণ সুরমায় অবাঁধে চলছে পরিবেশের ধ্বংসলীলা

গোলাম মর্তুজা বাচ্চু : দক্ষিণ সুরমায় অবাঁধে চলছে পরিবেশের ধ্বংসলীলা। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসের উৎসবে মেতে ওঠেছে কয়েকটি শিল্ল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শিববাড়ীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠেছে একাধিক প্লাটিকের কারখানা।এসব কারখানার দুর্গন্ধময় ধোঁয়া ও বর্জ্য এলাকার বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। জন্ম দিচ্ছে সর্দি কাশি, হাপানী, শ্বাসকষ্ঠ ও নিউমোনয়িাসহ নানা রোগব্যাধি। শিববাড়ি এলাকায় থাকা জহির-তাহির উচ্চবিদ্যালয় ঘেষে গড়ে ওঠা প্লাস্টিকের এ কারখানার ধোয়ায় দিনে ও রাতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যালয়টি। সফলে অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় পিরিবেশে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ায়।

.
পরিবেশ পরিদপ্তরের কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ধ্বংসে মেতে ওঠলেও নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন পরিবেশ পরিদপ্তর সিলেট-এর কর্তা-ব্যক্তিরা। দৃশ্যত বেআইনী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মাসোহারা গ্রহণই যেন তাদের একমাত্র চাকুরি।
দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় রয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান। এই এলাকায় সুরমা থেকে বেআইনীভাবে পাথর বালু ও মাটি উত্তোলন করে থাকে একশ্রেণির মাটিখাদকরা। ফলে নতী তীরের ভাঙ্গনসহ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে সেখানকার সিলেট বিভাগীয় সেটেলমেন্ট অফিস, পাসপোর্ট অফিস, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জপুলিশের ডিআইজ কার্যালয় ও কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র। এমনকি জুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সুরমার উপরে থাকা শাহজালাল ব্রিজ-সহ সরকারী,বেসরকারী ও ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা। মাটি খাদকরা পরিবেশ পরিদপ্তরের কর্তাব্যক্তি ও পুলিশকে টু-পাইসের বিনিময়ে ম্যানেজ করেই সুরমা তীরের পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

.
পরিবেশ পরিদপ্তর সিলেট এর উপ-পরিচালক জানান, সুরমার মাটিখাদক ও বেআইনী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। কিন্তু অভিযান শেষে তারা আবারো পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ২৪ ঘন্টা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সম্ভব হয় না বিধায় গোপনে পরিবেশ ধংস করে চলেছে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তবে পরিবেশ পরিদপ্তর অভিযান আরো জোরদার করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর