জামিন স্থগিতের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল শুনানি সোমবার

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

জামিন স্থগিতের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল শুনানি সোমবার

ডেস্ক প্রতিবেদন : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদনের শুনানি আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

জামিন স্থগিতের বিষয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্টে (কার্যতালিকায়) রয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন খালেদা জিয়ার প্যানেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

গত (১৭ নভেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। পরে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়। গত রোববার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এছাড়া খালেদার পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ফজলুর রহমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, মীর নাসির, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, কামরুজ্জামান মামুন, সগীর হোসেন, জহিরুল ইসলাম সুমন প্রমুখ। গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গত ৩১ জুলাই দুর্নীতির মামলায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেন হাইকোর্ট।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের নথি আসা-সাপেক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানান আদালত। গত জুনে নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপরই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদন শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন।

শুনানিতে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিন পেলে খালেদা জিয়া পালিয়ে যাবেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মামলার নথি এসেছে। এখন পেপারবুক প্রস্তুত করা হলেই আপিল শুনানি দ্রুত সম্ভব। এ অবস্থায় জামিন দেয়া ঠিক হবে না। এছাড়া খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এ মামলায় সাজা দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ মামলায় জামিন না দেয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। কারণ, তিনি সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর