ঢাকা ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : গত ২০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে আসা ১০২ বছর বয়সী সেই ইসাহাক আলীকে গণভবনে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের মাধ্যমে তাকে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে ১৯৫০ সালে যশোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভার স্মৃতিচারণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মনোযোগ দিয়ে শোনান শতবর্ষী ইসাহাক আলী।
জানা গেছে, ১৯৫০ সালে যশোরে জাতির পিতার জনসভামঞ্চে কে কে উপস্থিত ছিলেন এবং সেদিন ভাষণে কী বলেছিলেন সেসব স্মৃতিচারণ প্রধানমন্ত্রী তার কাছ থেকে শোনেন।
একপর্যায়ে শতবর্ষী ইসাহাক আলী আবেগাপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। তিনি গণভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ইসাহাক আলী মাস্টারের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে ও ছেলের বউ।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কৃষকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন ইসাহাক আলী।
সে সময় কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ইসাহাক আলী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রায় সবগুলো সম্মেলনেই অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু কখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলা বা দেখা করার সুযোগ হয়নি। শুধু দূর থেকে উনাকে দেখি। কাছে গিয়ে কথা বলার ইচ্ছে বহু দিনের।
তিনি বলেন, ধানমন্ডির বাসায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেছি। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। এরপর যশোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ফজলুল হক ও সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। অনেক স্মৃতি রয়েছে তাদের সঙ্গে।
ইসাহাক আলী বলেন, সর্বশেষ যশোরে দেখা হওয়ার পরপরই যোগ দেই তেভাগা ও ভাষা আন্দোলনে। এরপর মুক্তিযুদ্ধে।
দীর্ঘ এ রাজনৈতিক জীবনে এলাকায় অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার উন্নয়নে কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত নেই আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার। তখন থেকে আজ পর্যন্ত আছি আওয়ামী লীগ পরিবারের সঙ্গে। যতদিন শরীর চলবে ততদিন থাকব।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech