ঢাকা ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন : সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মিয়ানমার থেকে আসা মরণনেশা ইয়াবার চালান প্রতিরোধে আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে দু’দেশ।
এছাড়া সীমান্তে যে কোনো ধরনের চোরাচালান, মানব পাচার, অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে দু’দেশ যৌথভাবে কাজ করবে। কোনো দেশেরই মাটি ব্যবহার- অবস্থান করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে উভয় দেশ ‘জিরো টলারেন্স’ অনুসরণ করবে। বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) সিনিয়র পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে একথা বলা হয়।
সম্মেলনে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এবং মিয়ানমারের সফররত আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সম্মেলনে নয়টি বিষয়ে একমত হয়েছে দু’পক্ষ।
বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, মাদক চোরাচালান রোধে জিরো টলারেন্স; আন্তঃদেশীয় অপরাধ, অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, পণ্য চোরাচালান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক দেশ অপর দেশকে সহযোগিতা, সীমান্তের উভয় পাশে ১৫০ ফুটের মধ্যে যে কোনো ধরনের সীমানা লঙ্ঘন না করা ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে জানানো।
এছাড়াও, সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। বিজিবি ও এমপিএফের মধ্যে সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ইয়াবা চোরাচালান আগের চেয়ে কমেছে। ইয়াবাসহ যে কোনো চোরাচালান ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধে উভয় দেশই ‘জিরো টলারেন্স’ অনুসরণ করবে। ইয়াবা প্রতিরোধে এমপিএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও ইয়াবাসহ চোরাকারবারি গ্রেফতার করছে। এ মরণনেশা যাতে পুরোপুরি রোধ করা যায়- সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, ইয়াবাসহ চোরাচালান রোধে আরও কঠোর হবে। চোরাচালান তারাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রস্তাব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ও এগোচ্ছে। তিনি বলেন, সীমান্তে স্থল মাইন অপসারণের কাজে সহযোগিতার জন্য মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech