ঢাকা ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
দুলন মিয়া,জগন্নাথপুর থেকে : কয়েক দিনের শৈত প্রবাহে কাঁপছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সাধারন মানুষ। দিনে কুয়াশার বুক চিরে সূর্যি মামা উঁকি দিলেও রাতে বাড়ছে শীতে প্রকট। ভোরে ঝরছে কুয়াশা। ভোর রাতে বাড়ছে শীত। মাঘের শীতে কাবু ছিন্নমূল মানুষ। এরই মধ্যে ভীড় বাড়ছে উপজেলার গরম কাপড়ের দোকান, লেপ তোষকের দোকান ও ফুটপাতের শীতের কাপড়ের দোকানে।
শীত থেকে বাঁচতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোষকের দোকানে। মাঘের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় অনেকেই গত বছরের তুলে রাখা লেপ তোশক ব্যবহার করছেন আবার কেউ পুরোনোটাকে রিপেয়ারিং করতে কেউবা নতুন কিনতে ভিড় করছেন ধুনকারের কাছে। উপজেলার বিভিন্ন কারিগররা জানান, রেডিমেড লেপ-তোষকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরি করতে দিচ্ছেন বেশি। এজন্য সুই, সূতা লড়ি আর ধনুক হাতছাড়া করতেই পারছেনা ধুনকাররা। সূইয়ের ফোঁড়ে ফোঁড়ে পদ্ম, চারপুড়িয়া পদ্ম, পাঁচপুড়িয়া পদ্ম,শতদল পদ্ম,হরতল প্রভৃতি নকশাঁয় ক্রেতার চাহিদা বেশি ।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রথমদিকে শীতের তীব্রতা কম থাকায় লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা কম ছিল বিন্তু হঠাৎ করেই শীত বাড়ার কারণে শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা।
অনেক ব্যবসায়ীরা জানায়, পৌষের শুরুতে শীতের তেমন প্রভাব না থাকায় ব্যবসা হয়নি । পৌষের শেষ দিকে তীব্র শীত পড়ায় এখন বেচাকেনা খুব ভাল হচ্ছে । কার্পাস তুলার লেপ, শিমুল তুলার তোশক, বালিশ, কুল বালিশ বেশি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মাপের লেপ বানাতে আটশ থেকে এক হাজার আর তোশক বানাতে নয়শ থেকে বারোশ টাকা খরচ হয় । তবে বিভিন্ন রকমের নকশাঁ আর শিমুল তুলার খরচ কিছুটা বেশি। সেলাইয়ের কাজ থেকে শুরু করে তুলা ধুনতে দিনরাত সমানতালে এখন মহাব্যস্ত মালিক ও শ্রমিকেরা। তাদের যেন দম ফেলারও সময় নেই। তবে লেপ ক্রয়করতে আসা ক্রেতারা দামের ব্যাপারে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি নিচ্ছে ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech